ঢাকা: ভেজালমুক্ত খাদ্য, পণ্যের দাবিতে দেশব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের আন্দোলন অব্যাহত। তবে কর্তৃপক্ষের তেমন কার্যকরী পদক্ষেপ না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীদের দমানো কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছেনা।
বিশেষকরে অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজানে এরা সাধারন মানুষকে অনেকটা জিম্মি করে ফেলে। ব্যস্তজীবন আর ভোজনপ্রিয়দের দূর্বলতাকে অপব্যবহার করে মুখরোচক সব খাদ্যে প্রাণনাশক রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারে ধুম পড়ে। এর ভয়াবহ প্রভাব থেকে বাঁচতে অনেকে বাসায় তৈরির উদ্দেশ্যে যেসব খাদ্য উপকরণ কিনে তাতেও ভেজাল ভরপুর।
সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কৃষিভিত্তিক সামাজিক সংগঠন অ্যাগ্রোবাংলা এবং কনজ্যুমার অ্যসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের নব গঠিত খাদ্য সুরক্ষা কমিটি সাথে ডিআইইউ’র নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফার্মেসী ডিপার্টমেন্ট “রমজানে সুস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ খাদ্য” বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করে। রবিবার দুপুরে ডিআইইউ’র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য শুধু রমযানে নয় বছর ধরেই অব্যাহত রাখতে হবে। ইতিমধ্যে খাদ্যে ভেজাল রুখতে সরকার যুগপোযোগী খাদ্য আইন প্রণয়ন করেছে এবং আইন বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিক। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের ‘খাদ্য সুরক্ষা কমিটি’ সভাপতি ড. বেল্লাল হোসেন এবং মহাসচিব মহিউদ্দিন আহমেদ সৈকত, আ্যালাইড হেলথ সায়েন্সের ডীন ড. এস এম কেরামত আলী, নিউট্রেশন অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান ড. কে এম ফরমুজুল প্রফেসর হকসহ খাদ্য সুরক্ষা কমিটির পক্ষে মাসুদ ইবনে রহমান, রাশেদুল হাসান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৩