গোপালগঞ্জ: সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গোপালগঞ্জ শহরের পাঁচটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও ওইসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাত নারী কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।
এ সময় তাদের মোট ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজার আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার দুপুর ২টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল ইসলাম এ সাজা দেন।
জানা গেছে, প্রতারণার অভিযোগে গ্রুপ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সৈয়দ খোকন ও মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আব্দুল হককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২০ দিনের কারাদণ্ড, মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধি অমর বালা, ফাতেমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধি শেখ আমিনুল ফকির এবং অ্যাপেলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধি রশির খন্দকারের প্রত্যেককে সাত হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একই অভিযোগে জরিমানা দেওয়া সাত নারী কর্মী হলেন, গ্রুপ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সম্পা বেগম (৩৫) ও শিখা সরকার (৩৫), মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ফরিদা বেগম (৩০) ও তানজিলা বেগম (৩০), মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাসরিন বেগম (৩৮), অ্যাপেলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের হ্যাপি (১৮) ও ফাতেমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রুকসানা (২৫)।
গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক মো. সেলিম রেজা বাংলানিউজকে জানান, গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে আসা রোগীদের বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে শহরের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার অপরাধে সাত নারী কর্মীকে আটক করে তাদের প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকেও জরিমানা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৩
সম্পাদনা: মাহমুদুল ইসলাম রনি ও সোহেলুর রহমান, নিউজরুম এডিটর