ঢাকা: জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ৩৫৭টি পদে শূন্যতা এ সঙ্কটকে আরো ঘনীভূত করেছে।
তবে এর মাঝেও চিকিৎসাসেবায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়োগ নিয়ে ২০০৯ সালে সমস্যার এখনো সমাধান হয়নি। সে সময় এই হাসপাতালে ১৭১টি পদের বিপরীতে মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্রের মাধ্যমে লোক নিয়োগ করা হয়। আর ছাড়কৃত পদের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থাৎ ৩৫৮ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে ২৮৮ জন প্রার্থী হাইকোর্টে একটি রিট করেন। ওই মামলাটির নিষ্পত্তি এখনো হয়নি। এছাড়া শুধু তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ৩৫৭টি পদ শূন্য আছে।
বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাসপাতালে জনবলের সঙ্কট রয়েছে। তাই অনেক সময় চাহিদা অনুযায়ী সেবা প্রদান করা যাচ্ছে না। তবে এখান থেকে কোনো রোগীকে ফেরত যেতে হয় না। চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা আমরা করে থাকি।
তিনি বলেন, স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রতি রোগীর জন্যে একজন নার্স প্রয়োজন। কিন্তু সেটি আমরা দিতে পারছি না। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, আমাদের নিউরোসার্জারি বিভাগে ১৩০ জন রোগীর বিপরীতে নার্স রয়েছেন মাত্র ৫ জন।
লোকবলের এ সমস্যা কাটাতে পারলে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া সম্ভব বলেও জানান পরিচালক।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে মেডিকেল প্রতিবেদকদের বন্ধ করে দেওয়া অফিস কক্ষটি আবারো চালু করে দেওয়া হবে বলেও জানান মোস্তাফিজুর রহমান।
অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রহমান মতবিনিময় সভায় বলেন, ১৯৮৭ সালে অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের লোকবল দিয়ে ঢামেক হাসপাতালে আইসিইউ সেবা চালু হয়। ৮টি বেড দিয়ে যাত্রা শুরু করে এখন আইসিইউ ২০টি বেডে উন্নীত হয়েছে। তবে লোকবল বাড়েনি।
মতবিনিময় সভায় হাসপাতালের চিকিৎসক এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্মচারী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৩
এমএন/ সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর- [email protected]