ঢাকা: শিক্ষায় শিশুদের সফলতা নির্ভর করে ভালো শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বিদ্যালয়ের ওপর। এছাড়া পরিবারগুলোর সহযোগিতা শিশুর বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
রোববার ‘স্কুলগামী শিশু-কিশোরদের শিক্ষা সাফল্যের ওপর পুষ্টির প্রভাব: একটি পর্যালোচনা’ শীর্ষক গবেষণা পুস্তিকা প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ-এর নবম গবেষণা পুস্তিকা এটি।
এ গবেষণা পুস্তিকাটি উপস্থাপন করেন কানাডার সাইমন ফ্রেজার ইউনিভার্সিটির আইইউবিএটি’র আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ড. জন রিচার্ডস।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইইউবিএটি’র উপাচার্য ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. এম আলিমঊল্যা মিয়ান।
গবেষণাপত্রে বলা হয়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের সফলতা ব্যাখ্যায় পুষ্টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাদ্যে ভিন্নতার অভাব বাংলাদেশের পুষ্টির ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা, যার অর্থ হচ্ছে অনেক শিশুই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও অন্যান্য মাইক্রো-নিউট্রেয়েন্ট ভোগ করে না।
যে সমস্ত পরিবারের শিশুরা সুষম খাদ্যে যেমন মাছ, ডিম, ডাল, দুগ্ধজাত খাদ্য, ফলমূল ও সব্জি পরিবারের সব সদস্যের মধ্যে সমভাবে বণ্টন হয়, সে সমস্ত পরিবারের প্রতি সাতজনের মধ্যে চারজন শিশু শিক্ষায় সফল হয়েছে।
গবেষণা পত্রে বলা হয়, এ ক্ষেত্রে অন্যান্য পরিবারে সাতজনে তিনজন সফলতা অর্জন করেছে। এ থেকে প্রমাণিত যে, পুষ্টি শিক্ষার সফলতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। তাই, গর্ভবতী মা ও স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগে শিশুদের পুষ্টি উন্নয়নের প্রচারাভিযান থেকে শুরু করে সামাজিক বিপণন অভিযান চালু করা জরুরি। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ শিক্ষা বিকাশে অবদান রাখতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, আগষ্ট ১৪, ২০১৩
এসএম/এবি/আরকে