ঢাকা: বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) ও জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট ঐক্য পরিষদের সাধারণ সভা ও কাউন্সিল উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকালে মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইপিআই ভবনে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের জন্য মোট ১১টি পদ সৃষ্টির দাবি জানানো হয়।
বিভাগীয় সুপারিনটেনডেন্ট, ক্লিনিক ইপিআই ডেপুটি, চিফ সুপারিনটেনডেন্ট ইপিআই, সার্ভিল্যান্স, ডেপুটি চিফ সুপারিনটেনডেন্ট ইপিআই ক্লিনিক, চিফ সুপারিনটেনডেন্ট ইপিআই।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী এম.এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা মো. আনোয়ার হোসেন খাঁন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অফিস সহকারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আবদুল বাতেন, মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব রেজওয়ানুল ইসলাম, সমন্বয়কারী মো. মোস্তফা কামাল, কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম আকন্দ প্রমুখ।
আলোচনায় অংশ নেন বিএম শাজাহান, মোশাররফ হোসেন, রবিউল আলম, আব্দুল হাই, সোলাইমান, আতাহার উদ্দিন, মোসলেম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, কাজল কান্তি পাল, আনোয়ারা বেগম, মীর শহিদুল ইসলাম, দীপক রঞ্জন পাল, অজিত রঞ্জন পাল, মো. হামিদ আলী প্রমুখ।
প্রধান অতিথি মো. আনোয়ার হোসেন খাঁন বলেন, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন স্বীয় স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য সমুজ্জ্বল। আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে সুনাম কুড়িয়ে আনা স্বাস্থ্যখাতের ইপিআই কর্মসূচির সফলতার মূল কারিগর মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) ও জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্টরা। তাদের চাকরির উন্নয়ন ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য পেশকৃত দাবিসমূহ জাতীয় স্বার্থের জন্যে বাস্তবায়ন করা আবশ্যক।
তিনি বলেন, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্টের পদকে প্রথম শ্রেণির এবং এমটি ইপিআই পদকে দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আসন্ন এম আর ক্যাম্পেইন-বাংলাদেশ ৫ কোটি ২০ লাখ শিশুকে হামের টিকা দেওয়া হবে। মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
সমাবেশে বাংলাদেশের সব এমটি ইপিআই এবং জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্টরা উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সভায় তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য জোর দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৩
এমআইআর/এসএটি/আরআইএস