ঢাকা: যান্ত্রিক জীবনে অতিরিক্ত মানসিক চাপ আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে। ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে আমাদের মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে থাকতে হয়।
গর্ভবতী অবস্থায় মহিলাদের অতিরিক্ত মানসিক চাপের প্রভাব কি কি?
ডা. মুনাঃ গর্ভবতী মহিলাদের মানসিক পরিবর্তন তার শারীরিক পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত। পারিবারিক এবং অর্থনৈতিক কারণে অতিরিক্ত চাপের কারণে মেজাজ খিট খিটে হয়ে যায়, চোখে মুখে হতাশার ছাপ দেখা যায়, খাবারে অরুচি চলে আসে, রক্তচাপ বেড়ে যায়, ঘুম কমে যায়, মাথাব্যথা, অস্থিরতা ইত্যাদি উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়। এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে বাচ্চার উপরও এর প্রভাব পরে। যেমন: অপরিণত বাচ্চা প্রসব, ভ্রণ বা বাচ্চার শারীরিক বিকাশ কম হওয়া, অল্প ওজনের বাচ্চা প্রসব করা, সঠিক সময়ের আগে বাচ্চা জন্ম দেওয়া যার ফলে অপরিণত এবং অসুস্থ বাচ্চা জন্ম দিতে পারে।
গর্ভবতী অবস্থায় অতিরিক্ত মানসিক চাপে পরবর্তীতে বাচ্চার উপর কি কি প্রভাব পরতে পারে?
ডা.মুনাঃ সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের অতিরিক্ত মানসিক চাপের ফলে ভবিষ্যতে বাচ্চার অনকে শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা দেখা দেয় যেমন: কাজে মনসংযোগের অভাব, বাচ্চা বড় হয়ে কর্মে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, হতাশা দেখা দেয়, ডায়বেটিকস, উচ্চ রক্তচাপ, আচরণগত সমস্যা হতে পারে এমনকি বাচ্চার সিজোফ্রেনিয়া বা মানসিক রোগও হয়ে যেতে পারে।
গর্ভবতী অবস্থায় অতিরিক্ত মানসিক চাপ কমাতে আপনার পরামর্শ কি?
ডা. মুনাঃ গর্ভবতী অবস্থায় যত সম্ভব হাসি খুশি ও আনন্দের সাথে সময় অতিবাহিত করা, মানসিক ও শারীরিক চাপ কমানোর জন্য পরিবারের সবার গর্ভবতী মায়ের প্রতি যত্নশীল হতে হবে । নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং প্রতিদিন মেডিটেশন বা হাল্কা যোগ ব্যয়াম করা যেতে পারে। এছাড়া গর্ভবতী মহিলাদের পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন কারণ ঘুম মানসিক চাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুপুরে অন্তত ২ ঘন্টা এবং রাতে ৮ ঘন্টা ঘুমান উচিত। তাছাড়া গর্ভবতী অবস্থায় ধূমপান পরিহার করতে হবে, Aspirin জাতীয়ও ঔষধ পরিহার করতে হবে, চা কফি কম থেতে হবে বা পরিহার করতে হবে, কষ্টসাধ্য কাজ বা হতে বিরত থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৩
কেএইচ/আরআইএস