ঢাকা: ‘হার্টকে সুস্থ রাখার পথচলা শুরু হোক শৈশব থেকেই’ এ স্লোগান নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে হৃদরোগের কারণ ও ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে রোববার পালিত হচ্ছে বিশ্ব হার্ট দিবস।
জনসাধারণের মধ্যে হৃদরোগ, হৃদরোগের কারণ ও ঝুঁকিসমূহের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হার্ট দিবস উদযাপন করা হয়।
দিবসটিকে বিশেষ গুরত্ব দিয়ে পালন করবে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, প্রতিবছর বিশ্বে এক কোটি ৭৩ লাখ লোক হৃদরোগজনিত কারণে মারা যান। যার শতকরা ৮০ ভাগই স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশের।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে জরিপ চালিয়ে দেখতে পায়, বেশির ভাগ হৃদরোগই নিয়ন্ত্রণ, নিরাময় ও পরিবর্তনযোগ্য।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ও ইউনাইটেড ফোরাম অ্যাগেইনস্ট টোব্যাকো যৌথভাবে এ কর্মসূচি পালন করবে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল মালিক জানান, মিরপুরে হার্ট ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে রোববার সকাল ১০টায় বিশ্ব হার্ট দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির এবং নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিকুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
সাধারণ কিছু নিয়ম যেমন- স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা, তামাক ও তামাকজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ না করা, নিয়মিত রক্তচাপ ও ডায়াবেটিক পরিমাপ হৃদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীরা দীর্ঘদিন ধরে ধূমপানের কারণে মারাত্মকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এতে তারা সবাই শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। এ জন্য সবাইকে ধূমপান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৩
এমএন/জেডএস/আরকে