ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য কার্ড করতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার মন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৩
স্বাস্থ্য কার্ড করতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার মন্ত্রীর

ঢাকা: বিগত প্রায় পাঁচ বছরে স্বাস্থ্যখাতের আমূল পরিবর্তনের জন্য গর্ববোধ করলেও গরীব মানুষের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য কার্ড করতে না পারাকে নিজের ব্যর্থতা বলে স্বীকার করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এভাবেই নিজের ৫ বছরের দায়িত্বপালনকালীন সময়ের মূল্যায়ন করেন।



স্বাস্থ্যখাতের পাঁচ বছর উপলক্ষ্যে ‘মিট দ্য প্রেস’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ সরকারের সময়ে স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন উন্নয়ন নিয়ে গর্ববোধ করি। তবে কিছু দুর্বলতাও আছে। আমার স্বপ্ন ছিল গরীব মানুষদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য বিশেষ কার্ডের ব্যবস্থা করবো, কিন্তু তা পারিনি।

বিভিন্ন দেশে সাধারণ ও গরীব মানুষ ওই বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে স্বপ্লমূল্যে উন্নত হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার সুযোগ পায় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশেও তেমন কার্ড করা গেলে গরীব মানুষ বেসরকারি বিভিন্ন উন্নত হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবা পেতেন। এই কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত করা যায়নি বলে জানান মন্ত্রী।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের বদলি বাণিজ্যের সঙ্গে নিজের পরিবারের সদস্যরা জড়িত নয় বলে দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়া চিকিৎসকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোন দলীয় মনোভাব বিচার করা হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ঈদের পর চিকিৎসকদের বড় পদোন্নতি হচ্ছে।

গুলিবিদ্ধ বা জরুরি রোগীদের অবশ্যই যে কোন বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে হবে বলেও এ সময় জানান স্বাস্থমন্ত্রী।

তবে চিকিৎসকদের রোগীর ফি নির্ধারণের ব্যাপারে কোন পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে সরাসরি কোন উত্তর দেননি মন্ত্রী।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেটা তাদের প্রাইভেট ব্যাপার। অনেকে ল-ইয়ারের কাছে ৫০ হাজার টাকার নিচে দাঁড়াতে পারেন না। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ৫০ টাকা দিয়ে কোন রোগী যে সেবা পাচ্ছে, সেই রোগী ৫০ হাজার টাকা দিচ্ছে প্রাইভেট মেডিকেলে। তবে রোগী দেখার ফি নিয়ে প্রতিযোগিতা কাম্য নয় বলে জানান মন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে স্বাস্থ্যখাতের অঙ্গীকার পূরণ হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মানুষের গড় আয়ু, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার, এইডস সংক্রমণের হার কমেছে। কালা জ্বর ও কুষ্ঠরোগ নির্মূল হয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যনীতি পুনর্মূল্যায়ন করে যুগের চাহিদা অনুযায়ী নবায়ন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফের সভাপতিত্বে সম্মেলনে স্বাস্থ্য সচিব এমএন নিয়াজ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার শেফায়েত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৩
এমআইএইচ/আরআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।