ঢাকা: দেশজুড়ে চলমান পুষ্টি কর্মসূচি সম্প্রসারিত এবং আরো জোরালোভাবে পরিচালনা করতে হবে। পুষ্টির উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি খাত থেকে অনেক টাকা-পয়সা ব্যয় করা হচ্ছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস সভাকক্ষে আয়োজিত ‘পুষ্টি বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মী এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মিথস্ক্রিয়া’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় আলোচকরা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ) ও এমআরডিআই যৌথভাবে সভাটি আয়োজন করে।
সভাটি সঞ্চালন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক-বার্তা সংস্থা এপি’র সাবেক ব্যুরো প্রধান ফরিদ হোসেন।
তিনি বলেন, সমাজে নাদুস নুদুস শিশু অনেক দেখা যায়। কিন্তু এদের অনেকেই মেধাশূন্য হয়ে বেড়ে উঠছে। পুষ্টি কর্মসূচি সমন্বিত করে এ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে হবে।
উদ্বোধনপর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুষ্টি কর্মসূচি জোরদারের উদ্দেশে সামগ্রিক স্বাস্থ্য কর্মসূচির সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে। এখানে আরো অগ্রগতির সুযোগ আছে।
সভায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত পুষ্টি বিষয়ক প্রতিবেদনের সংখ্যা ও মান নিয়ে আলোচনা হয়। বলা হয়, এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো দায়সারা গোছে প্রস্তুত এবং সম্পাদনা করা হয়। প্রকাশ করা হয় এমন জায়গায় যেখানে সহজে পাঠকের চোখ যায় না। অথচ পুষ্টি দেশের শতভাগ মানুষের জন্য সমান জরুরি বিষয়।
আলোচকরা বলেন, শিশুর পুষ্টির সাম্প্রতিক অবস্থা জানতে পরিসংখ্যানের ব্যবহার হচ্ছে। এই পরিসংখ্যানগুলোকে পাঠকসহ দেশের আপামর জনসাধারণের বোধগম্যভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডা. খুরশীদ তালুকদার, জাতীয় পুষ্টিসেবা কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মোস্তাফিজুর রহমান।
ডা. খুরশীদ তালুকদার বলেন, গণমাধ্যমে নানা কৌশলে বিকল্প খাদ্যের প্রচারণা চলছে। এটা এমনভাবে করা হয় যাতে প্রকারন্তরে শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা হ্রাস পায়।
তিনি বলেন, ধনী ও দরিদ্র উভয় ধরনের পরিবারে মারাত্মক অপুষ্টির শিকার শিশুর হার ৪ শতাংশ। অর্থ্যাৎ শিশুর পুষ্টির মানোন্নয়ন পরিবারের আর্থিক সামর্থ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। এক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়ানো সবচেয়ে বেশি জরুরি।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিয়ে সমাজে অনেক অজ্ঞতা ও দোটানা আছে। মূল চ্যালেঞ্জটি হচ্ছে, মানুষের কাছে সঠিক তথ্যটি পৌঁছানো। রাষ্ট্রযন্ত্রের পক্ষে জাতীয় পুষ্টিসেবা কর্মসূচি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তথ্য বোধগম্য আকারে পৌঁছে দিতে পারলেই এই কর্মসূচির ৫০ শতাংশ কাজ হয়ে যায়।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন- এমআরডিআই নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান, বিএইচআরএফ সভাপতি তৌফিক মারুফ ও সাধারণ সম্পাদক বদরুদ্দোজা সুমন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৩