শীতে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই মৌসুমি কিছু বিষয়ে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো।
শীতের সময় ঠান্ডা থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা হতে পারে। এছাড়া নাক দিয়ে পানি আসা বা সর্দি আসা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলোও এ সময় দেখা দেয়। এসব সমস্যা ভাইরাস দ্বারাই মূলত বেশি হয়।
করণীয়
* ছোট-বড় সবাইকেই শীতের সময় ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতে হবে।
* অ্যালার্জি ও ঠান্ডা পরিহারের চেষ্টা করতে হবে।
* শিশুদের গরম কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে। বিশেষ করে রাতের বেলায় তাদের গায়ের ওপর থেকে যেন কাপড় বা লেপ, কম্বল সরে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
* ঠান্ডায় যাদের বেশি অ্যালার্জি, তারা রুম হিটার ব্যবহার করতে পারেন।
* ইনফ্লুয়েঞ্জা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শে প্যারাসিটামল, অ্যান্টি-হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
সর্দি-কাশি
শীতে সর্দি-কাশি লেগেই থাকে, বিশেষ করে নাক বন্ধ হওয়া, নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরা এবং ঘন ঘন হাঁচি আসে। হালকা জ্বর, শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা, দুর্বল লাগা ও ক্ষুধামন্দার পাশাপাশি হালকা জ্বরের প্রাদুর্ভাবও দেখা দেয়।
করণীয়
* সকাল, সন্ধ্যা ও রাতে সবাইকে শীতের পোশাক বা গরম জামাকাপড় পরে থাকা উচিত।
* গোসলের সময় বেশি ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা যাবে না।
* শীতের বাতাসে প্রচুর ধুলা, কল-কারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া বাতাসকে দূষিত করে। এছাড়া এখন করোনাকাল চলছে। তাই অবশ্যই মুখে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।
* যাদের গলাব্যথা, তাঁরা এই সময় গলায় মাফলার জড়িয়ে রাখতে পারেন।
* টনসিলাইটিস ও কানে ব্যথা হলে নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা নিন।
* মধু, আদা, তুলসীপাতা, কালিজিরা ইত্যাদি রোগের উপসর্গকে কমাতে সাহায্য করে।
বয়স্করা যা করবেন
বয়স্কদের নড়াচড়া, হাঁটাচলা ও কাজকর্ম অনেক কম হয়। ফলে শরীরে উত্তাপ সৃষ্টি ও তাপ ধরে রাখার ক্ষমতাও কমে যায়। তাই এ সময় শরীর গরম রাখার জন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
* রুম হিটার ব্যবহার করতে পারেন।
* অজু, গোসলসহ নানা কাজেও গরম পানি ব্যবহার করুন।
* জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথাসহ অন্য যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
এএটি