ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

পনিরে লবণের আধিক্য স্বাস্থ্যের ক্ষতি

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৪
পনিরে লবণের আধিক্য স্বাস্থ্যের ক্ষতি

ঢাকা: পনিরের নাম শুনলেই অনেক ভোজন-রসিকের জিভে জল এসে যায়! দেশজ খাদ্য তালিকায় পনিরের চল খুব বেশি একটা না থাকলেও, পাশ্ববর্তী দেশ ভারতসহ পশ্চিমা বিশ্বের কল্যাণে আস্তে আস্তে এদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে খাবারটি।

বঙ্গদেশে নাম ‘পনির’ হলেও বহির্বিশ্বে এটি ইংরেজি ‘চিজ’ নামেই বেশি পরিচিত।

চিজ তথা পনিরের মধ্যেও আছে নানা রকমফের। সবরকমের পনিরই হয়ে উঠছে জনপ্রিয়।

তবে, পনিরের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এটি চিন্তার কারণ হয়েও উঠছে!

যুক্তরাজ্যের সুপার মার্কেটগুলোতে বিক্রি হওয়া পনিরের মধ্যে দেখা দিচ্ছে, লবণের আধিক্য। এটি স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি, একটি ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, হ্যালৌমি (এ ধরনের প্রতি ১০০ গ্রাম পনিরে ২.৭১ গ্রাম লবণ) ও ব্লু চিজের (২.৭১ গ্রাম লবণ) মধ্যেই সব থেকে লবণের আধিক্য বেশি; যা কিনা সমুদ্রের পানির চেয়েও লবণাক্ত। লবণের পরিমাণ সবথেকে কম আছে, কটেজ চিজে (০.৫৫ গ্রাম লবণ)।

গবেষণা প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ডেইরি ক্রেস্ট ও কেরি ফুডসসহ অনেক বড় পনির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এখনও যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের ‘২০১২ ও নতুন ২০১৭ লবণ হ্রাস অঙ্গীকার’-এ স্বাক্ষর করেনি।

প্রতিবেদন বলছে, গড়ে একজন ব্যক্তি প্রতিবছর নয় কেজি লবণ গ্রহণ করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাত্রারিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ও কিডনির রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের ফুড স্ট্যান্ডার্ডস এজেন্সি ১০টি জনপ্রিয় পনিরের ওপর লবণ হ্রাসের একটি লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয়।

পরে দেখা যায়, ৮৫ শতাংশ পনির তাদের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়েছে। তবে বাকিগুলোতে এখনও ‘রেড কালার’ অর্থাৎ লবণের মাত্রা অধিক পর্যায়ে রয়েছে।

সম্প্রতি, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (হু) সম্মেলনে সব দেশ খাবারে ৩০ শতাংশ লবণ কমানোর ব্যাপারে একমত হয়েছে। সম্মেলনে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিদিন জনপ্রতি পাঁচ গ্রাম লবণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে যুক্তরাজ্য প্রতিদিন জনপ্রতি ছয় গ্রাম লবণ গ্রহণের ব্যাপারে সুপারিশ করে।

সাধারণত, প্রতি ১০০ গ্রাম পনিরে লবণ থাকে গড়ে ১.৭ গ্রাম।

কনসেনসাস অ্যাকশন অন সল্ট অ্যান্ড হেলথের (ক্যাশ) সভাপতি অধ্যাপক গ্রাহাম ম্যাকগ্রেগর বলেন, খাবারে লবণের মাত্রা কমালে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ও হার্ট ফেইলিওরের মতো রোগ থেকে বাঁচতে পারে মানুষ।

পনির প্রস্তুতকারী ডেইরি ইউকে’র প্রধান নির্বাহী ড. জুডিথ ব্রুনাস বলেন, পনির প্রস্তুতে লবণ একটি অবিচ্ছেদ্য উপাদান। গত কয়েক বছরে আমরা পনির প্রস্তুতকারীরা ডেইরি পণ্যে লবণ কমানোর ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। ভোক্তাদের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পনির পৌঁছে দিতে লবণ হ্রাসের কারিগরি সীমাবদ্ধতা নিয়েও কাজ করছি আমরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৪০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।