ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

বেহাল দশায় স্বাস্থ্যসেবা

আট বছরেও শেষ হয়নি সান্তাহার হাসপাতাল নির্মাণ

টি এম মামুন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৪
আট বছরেও শেষ হয়নি সান্তাহার হাসপাতাল নির্মাণ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়া: বগুড়ার সান্তাহার শহরের রথবাড়ীতে নির্মাণাধীন ২০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালের নির্মাণ কাজ আট বছরেও শেষ হয়নি। এ কারণে আশায় বুক বেধেও হতাশার দীর্ঘশ্বাস নিতে হচ্ছে চিকি‍ৎসা সেবাবঞ্চিত এখানকার সাধারণ মানুষকে।



সান্তাহার পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াহেদুল ইসলামসহ স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, ২০০৫ সালের ৩০ মে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কাজ শেষ না হতেই তৎকালীন বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের মেয়াদ শেষের দিকে ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

এরপর চিকিৎসকসহ হাসাপাতালের অন্যান্য দপ্তরের লোকবল মঞ্জুর ও বদলি করা হয়। একইসঙ্গে অপারেশন থিয়েটারের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ধরনের যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালের বাস্তব ও অসমাপ্ত অবস্থা দেখে বদলি করা চিকিৎসকসহ অন্যান্য লোকবল তাদের বদলি আদেশ বাতিল করিয়ে নেন। তাছাড়া, সান্তাহার হাসপাতালের জন্য পাঠানো সব সরঞ্জামাদি আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাক্সবন্দি করে রাখা হয়।

সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বিষয়গুলো বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে দুর্নীতি দমন বিভাগ তদন্ত করে এর প্রাথমিক সত্যতা পায়। তদন্তে বেরিয়ে আসে, কাজ শেষ না করেই সম্পূর্ণ বিল প্রদানের ঘটনায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং বিল প্রদানকারী সিএমএমইউ’র কর্মকর্তারা বিপাকে পড়েন।

অবস্থা বেগতিক বুঝে অলিখিত চুক্তি মোতাবেক ২০১২ সালের জুলাই মাসের মধ্যে অসম্পন্ন কাজ করতে সম্মত হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এরপর প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয় করলেও শেষ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গভাবে শেষ করতে পারেনি হাসপাতালের কাজ।

হাসপাতালের কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী বোরহান উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৬ বছর ধরে তিনি কোনো রকম পারিশ্রমিক পাননি।

এদিকে, হাসপাতালটি ব্যবহার না করার কারণে মূল ভবন ও কোয়াটারগুলোর প্রবেশ পথে বাসা বেধেছে মাকড়সা। পরিত্যক্ত হতে চলেছে এসব অবকাঠামো। অ্যাম্বুলেন্স রাখার ঘরে দরজা না থাকায় সেটি এলাকাবাসীর কাছে গরুর-গোবরের ঘুঁটে শুকানো এবং গুদাম হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।

অপরদিকে, বগুড়ার সিভিল সার্জন আফজাল হোসেন তরফদার বাংলানিউজকে জানান, সান্তাহারে ২০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালটি এখনও নির্মাণাধীন। এটা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর যতদিন পর্যন্ত না তাদের কাছে হস্তান্তর করবে, ততদিন পর্যন্ত তারা হাসপাতালটি দেখভাল করতে পারেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।