ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বিজয়ের মাসে সাভার পেলো প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসা কর্মকর্তা

জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৪
বিজয়ের মাসে সাভার পেলো প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসা কর্মকর্তা

ঢাকা: সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম নারী উপাচার্যের পর এবার প্রথম নারী কর্মকর্তা পেলো উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র।

স্বাস্থ্য সেবাকে তৃণমূলে পৌছে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে বিজয়ের মাসে সাভারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিলেন মুক্তিযোদ্ধা ডা. শেফালিকা ভৌমিক।



ভারতের বিখ্যাত গোবরা নারী মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেওয়া এই বীর নারী যোদ্ধাকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে বরণ করে নিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের পেশাজীবী ও বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা।

রনাঙ্গনে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সালের মে মাসের শেষের দিকে দিকে মুজিবনগর সরকার এবং ভারত সরকারের সমর্থন ও সহযোগিতায় কলকাতার পদ্মপুকুর এলাকার গোবরায় আজকের সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী পরিচালনায় যাত্রা শুরু করে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প।

সেই ক্যাম্পে প্রথম সারির প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে সফলভাবে সিভিল ডিফেন্স, নার্সিং, অস্ত্র চালনা ও গেরিলা আক্রমণের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে শেফালিকা ভৌমিক চলে যান ত্রিপুরা রাজ্যের বিশ্রামগঞ্জের বাংলাদেশ ফিল্ড মুক্তিযোদ্ধা হাসপাতালে। সেখানে তিনি ক্যাপ্টেন সেতারা বেগমের নেতৃত্বে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দেন।

স্বাধীন দেশে ফিরে রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসা শাস্ত্রে অর্জন করেন এমবিবিএস ডিগ্রি।

সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগে চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন ১৯৮৩ সালে। পরবর্তীতে ঢাকার সাভার, ধামরাই, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, কুমিল্লা ও দিনাজপুরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন শেষে গত ১০ ডিসেম্বর তিনি যোগ দেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।

দায়িত্বভার গ্রহণের পর ডা. শেফালিকা ভৌমিক বাংলানিউজকে বলেন, চিকিৎসাসেবাকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য। এ ছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যাপক সংখ্যক দরিদ্র সেবাগ্রহীতাকে সম্পৃক্ত করা, তাদের সঠিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার ব্যাপারে আমি বদ্ধপরিকর। আমি চাই, সাভারের প্রতিটি মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মৃত আশুতোষ দাসের মেয়ে ডা. শেফালিকা ভৌমিক দুই সন্তানের জননী। বড় ছেলে আইটি প্রকৌশলী আলফ্রেড দেবাশীষ ভৌমিক পাপন বর্তমান জার্মানির কোলন ইউনির্ভাসিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্সে ইনফরমেশন অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিষয়ে অধ্যয়ন করছেন। দ্বিতীয় ছেলে আলবার্ট সুভাশীষ ভৌমিক কাকন এ লেভেলের পরীক্ষার্থী।

তার স্বামী ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক দফতর সম্পাদক সাংবাদিক বরুণ ভৌমিক নয়ন বর্তমানে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় কর্মরত।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।