ঢাকা: একজন মানুষের খাদ্যাভ্যাসের ওপর তার সুস্থতা থাকা না থাকা নির্ভর করে। এই শীতে ঠাণ্ডা পানি পানে যেমন গলা ধরা ও বুকে কাশি জমার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে তেমনি ভীষণ গরম থেকে গিয়ে হঠাৎ গায়ে পানি ঢেলে দিলেও জ্বর ভর করতে পারে।
চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে যে পরামর্শ দিয়ে থাকেন তার প্রধান অংশেই থাকে গরুর দুধ। তাই বাংলানিউজের স্বাস্থ্য বিভাগও পাঠকদের নিয়মিত দুধ পানের পরামর্শ দিচ্ছে।
ভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত দুধের গুণ বিশ্লেষণ করে তার মধ্য থেকে সাতটি উপকারিতা উপস্থাপন করা হচ্ছে।
* গরুর দুধ দেহ শক্তিশালী ও মন তরতাজা করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। মল-মূত্র ত্যাগের মাধ্যমে শরীর সবসময় ফুরফুরে ও সতেজ রাখতে দুধের ভূমিকা অপরিসীম।
* আহতদের (বিশেষত বুকে জখম পাওয়া) দ্রুত আরোগ্য লাভে গরুর দুধ সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখে।
* গরুর দুধ ভোক্তাকে দীর্ঘায়ু লাভে সাহায্য করে। দুধপান যৌবনও ধরে রাখে। বৃদ্ধি করে আদিকামও।
* মেধা ও মনন শাণিত করতে গরুর দুধের জুড়ি নেই। এ কারণে দুধের বিজ্ঞাপনে শিশুদের মেধা শাণিত করার কথা তুলে ধরা হয়।
* গরুর দুধ অবসাদ ও বিষণ্নতা দূর করে। দিনমান কাজ শেষে এক গ্লাস দুধ মুহূর্তেই ফুরফুরে করে তুলতে পারে মন-মেজাজ।
* মাথা ঘোরা, দেহে বিষাক্ততা, শ্বাসকষ্ট, কাশি, তীব্র তৃষ্ণা ও ক্ষুধা, অনেক দিনের জ্বর দূরীকরণে গরুর দুধ অত্যধিক কার্যকর।
* নারীর রক্তপাত বন্ধে গরুর দুধের জুড়ি নেই।
অতএব, বেশি বেশি গরুর দুধ পান করুন, থাকুন সুস্থ ও সতেজ।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৪