ঢাকা: সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ মিলিয়েও দেশে কিডনী রোগীর মধ্যে ৫ শতাংশেরও চিকিৎসা সম্ভব হয় না। অথচ শুধু মাত্র মানুষের সচেতনতা বাড়িয়ে জীবনাচার ও খাদ্যাভাস পরিবর্তেনের মাধ্যমেই ৬০ শতাংশ কিডনী রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।
রাজধানীতে ধানমণ্ডির একটি হোটেলে আয়োজিত স্কুল শিক্ষার্থীদের কিডনী সচেতনতা বিষয়ক এক স্মারক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা, কিডনী অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস) এবং ইন্টারন্যাশনাল চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (আইসিডএফ) মধ্যে স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতের ওই অনুষ্ঠানে ক্যাম্পস এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ এবং আইসিডিএফ এর চেয়ারম্যান আফরোজা বেগম হ্যাপি নিজ নিজ পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
স্মারক অনুযায়ী স্কুল শিক্ষার্থীদের কিডনী বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে যৌথভাবে কাজ করবে এই দুই সংস্থা।
ক্যাম্পস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট কিডনী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এস এ সামাদ বলেন, সুস্থ্য জাতি ও সুন্দর সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গঠনের জন্য শিশুদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই শিশুদের ছোটখাট স্বাস্থ্য সমস্যা অবহেলা করা বা এড়িয়ে চলা হয়। কিন্তু এটাই এক সময় বড় সমস্যা বা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই ছাত্র অবস্থায় শিশু-কিশোরদের মধ্যে কিডনী বিষয়ক বা অন্যান্য অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সচেতন করে তুলতে হবে। আর সে কাজটি করতেই ক্যাম্পস ও আইসিডিএফ যৌথভাবে এ উদ্যোগ নিয়েছে।
শতকরা ৬৩ ভাগ মৃত্যুই নন কমিউনিকেবল রোগের কারণে ঘটে উল্লেখ করে ডা. এস এ সামাদ বলেন, সচেতনতা, খাদ্যাভাস এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে অনেকটাই প্রতিরোধ সম্ভব।
অইসিডিএফ এর চেয়ারম্যান আফরোজা বেগম হ্যাপি শিশুর সু-স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে সুন্দর সমৃদ্ধ ভবিষ্যাত গঠনে ক্যাম্পস ও আইসিডিএফ যৌথভাবে কাজ করে যাবে বলে অঙ্গীকার করেন ।
ক্যাম্পস সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদের সভাপতিত্ব সভা সঞ্চালনা করেন আইসিডিএফ এর নির্বাহী পরিচালক নাকিবুল ইসলাম চৌধুরী।
সভায় অন্যদের মধ্যে আইসিডিএফ এর উপদেষ্টা মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমান, ক্যাম্পস এর মহাব্যপস্থাপক এস এম মাহীউদ্দিন, আইসিডিএফ এর সেক্রেটারি মীর মোশারেফ হোসেন অমি, ডা. নিজাম ও আল আমিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৪