ঢাকা: সারা দেশে ১১টি মেডিকেল কলেজে শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধন করা কলেজগুলোর মধ্যে ৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ৫টি সেনা সদর দপ্তরের অধীনে আর্মি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন এসব মেডিকেল কলেজগুলো হলো- টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, জামালপুর, পটুয়াখালী ও রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ। এছাড়া চট্টগ্রাম, যশোর, রংপুর, বগুড়া ও কুমিল্লা সেনানিবাসে হচ্ছে আর্মি মেডিকেল কলেজগুলো।
শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে মানুষ যেন ভালোভাবে বাঁচতে পারেন, না খেয়ে রোগে শোকে কষ্ট না পায় সেজন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে। চিকিৎসা সেবা মানুষের মৌলিক অধিকার, চিকিৎসা না পেয়ে রোগে-শোকে কষ্ট পেয়ে মানুষ মারা যাবে এটা হতে পারে না।
‘জনসংখ্যার তুলনায় ডাক্তারের সংখ্যা কম, তাদের ওপর চাপ অনেক বেশি। এজন্য মেডিকেল কলেজের প্রয়োজন আগামীতে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীসহ প্রতিটি বিভাগে ১টি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে’ বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মেকিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার মান যেন ভালো হয় সে বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজগুলো যেন মানসম্মত হয়, সেখান থেকে যেন রোগী মারার ডাক্তার বের না হয়। ডাক্তার হওয়া মানে পয়সা কামানো নয়, মানুষের সেবাই সবচেয়ে বড় কথা।
একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই ঘোষণা টেলিগ্রাফ, টেলিপ্রিন্টার ও অন্য মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ ঘোষণা দেওয়ার কারণে তাকে পাকিস্তানি হানাদাররা গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল। গ্রেফতার হওয়ার আগেই মুক্তিযুদ্ধ কিভাবে চলবে- সে ব্যাপারে সমস্ত ব্যবস্থা করে ও নির্দেশনা দিয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বহু আগেই এদেশের মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হতো বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১১টি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৪/আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা
** জামালপুর মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী