ঢাকা: ডায়াবেটিস হতে পারে সব বয়সী মানুষের। তবে বেশি দেখা দেয় পঞ্চাশোর্ধ্বদের।
ডায়াবেটিস এমন একটি ব্যাধি যা পুরোপুরিভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে সঠিক নিয়ম মেনে চললে সুস্থভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব। শুধু প্রয়োজন সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করা।
ক্ষুধা নাকি তৃষ্ণা?
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে তৃষ্ণা বেড়ে যায়। অনেকে ভাবেন ক্ষুধার্ত, তবে সেটা বেশিরভাগ সময়ই ভুল। এমন মনে হলে একগ্লাস পানি পান করুন। বিশ মিনিট পর যদি দেখেন ক্ষুধা অনুভূত হচ্ছে না তবে সেটা তৃষ্ণাই ছিল। তবে বিশ মিনিট পরও যদি একই অনুভূত হয় তাহলে একটা আপেল ও কয়েক ধরনের বাদাম খেতে পারেন। যেমন চীনাবাদাম, আমন্ড, কাজুবাদাম।
প্রতিদিন ফাইবার
ডায়াবেটিসের রোগীরা দৈনিক ২৫ থেকে ৩৫ গ্রাম ফাইবার নিন। একটি নাশপতিতে ৫ গ্রাম, আপেলে ৪ গ্রাম ও ১/২ কাপ পালংশাকে ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে। তিনবেলা আহারে পর্যাপ্ত ফাইবারের ব্যবস্থা রাখুন।
বাড়ুক শক্তি
আশ্চর্য হলেও সত্যি। পুদিনা পাতার ঘ্রাণ শক্তি বর্ধন করে ও কাজে উৎসাহ বাড়ায়। গরম পানিতে পুদিনা পাতা দিয়ে ভ্যাপার নিতে পারেন। এতে ক্লান্তিভাব কেটে যাবে ও কাজে উদ্যম পাবেন। এছাড়াও পুদিনার চা-ও খেতে পারেন।
ত্বকের যত্ন
ডায়াবেটিসের রোগীদের ত্বকের যত্ন নেয়া খুবই প্রয়োজন। কারণ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে ঘাম নিঃসরণ কম হয়। ফলে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে আসে। বিশেষ করে পায়ের যত্ন নেয়া খুবই জরুরি। শরীরকে আর্দ্র রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
বাড়তি ওজন কমান
ওজন কমানোর সঙ্গে ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থতা অনেকাংশে জড়িত। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাথমিকভাবে সাত কেজি ওজন কমিয়ে প্রায় ৬০ শতাংশ রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
ডায়বেটিস মানেই খেতে মানা নয়
অনেকে ভাবেন ডায়াবেটিস হলে বুঝি সব মিষ্টি খাবার খাওয়া নিষেধ। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। খাওয়া যাবে সবই, তবে একটু বুঝে। কলা, আপেল, বেদানা ও আমের মতো মিষ্টি ফলও খাওয়া যাবে তবে তা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে সালাদ, সবজির স্যুপ খেতে পারেন।
দুই ঘণ্টা পর পর খান
ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষুধা সাধারণের তুলনায় বেশি পায়। তাই প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর হালকা খাবার খান। যেমন ওটমিল, ইয়োগার্ট, ফ্রুট সালাদ, স্যুপ, পেপের জুস ইত্যাদি।
হাঁটুন
ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য হাঁটা খুব ভালো ব্যায়াম। প্রতিদিন সকালে একঘণ্টা হাঁটুন। এতে ওজন ঠিক থাকবে ও শরীর ঝরঝরে থাকবে।
ভ্যাক্সিন
রোগের সংক্রমণ যেন না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি। তাই প্রয়োজন বুঝে ভ্যাক্সিন, ওষুধ ও ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৫