ঢাকা: দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে এক লাখ ৯১ হাজার ১৫৫ জন (প্রতি লাখে ১২২ জন) যক্ষ্মায় আক্রান্ত। এর মধ্যে শুধু কফে যক্ষ্মার জীবাণু পাওয়া গেছে এক লাখ ৬ হাজার ৭৭৫ জনের (প্রতিলাখে ৬৮ জন)।
এ পরিসংখ্যান ২০১৪ সালের।
সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও ব্র্যাকের উদ্যোগে।
শুরুতেই দিবসের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ব্র্যাকের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রাম বিষেশজ্ঞ ড. কাজী আল মামুন সিদ্দিকী।
এসময় তিনি জানান, যক্ষ্মার সাধারণ তথ্য ও নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) পালিত হবে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘যক্ষ্মা খুঁজবো ঘরে ঘরে, সুস্থ করবো চিকিৎসা করে’।
লিখিত বক্তব্যে কাজী আল মামুন সিদ্দিকী জানান, দিবসটিতে যক্ষ্মা রোগ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন যক্ষ্মার লক্ষণ, নির্ণয় পদ্ধতি, চিকিৎসা প্রাপ্তির স্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে জনগণকে জানানো হবে।
তিনি বলেন, যক্ষ্মার মতো ভয়াবহ রোগকে একার পক্ষে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। যক্ষ্মাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সব জনগোষ্ঠীকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
বক্তারা জানান, যক্ষ্মা রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে। এটা খুবই ইতিবাচক। তবে এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
আয়োজকেরা জানান, দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৭টায় শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পরামর্শ হিসেবে বক্তারা জানান, কোনো ব্যক্তিকে যক্ষ্মারোগী বলে ধারণা করা হলে কাছের সরকারি বা বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। পরিবারের একজন রোগী হলে অন্যদের বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের কারও কাশি থাকলে তাদেরও পরীক্ষা করাতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রামের ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কনসালট্যান্ট ডা. মুজিবুর রহমান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার যক্ষ্মা ডা. মোজাম্মেল হক, আইসিডিডিআরবি প্রোগ্রাম কনসালট্যান্ট ডা. মো. লুতফর রহমান, ব্র্যাক (যক্ষ্মা) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শায়লা ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৫