শিশুদের বমি হলে বাবা, মা হিসেবে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি। আধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক কিছু ইঙ্গিত করে না।
শিশুর বমির কারণ
পরিপাকতন্ত্রের ইনফেকশান; যেমন: ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে।
খাদ্যে এলার্জি হলে; যেমন: ডিম, দুধ, বাদাম ইত্যাদি।
শিশু যদি দুঃশ্চিন্তা বা আতঙ্কে থাকে; যেমন: স্কুলে যাওয়ার চিন্তা, কোন খেলা থাকলে সেটা নিয়ে চিন্তা।
জ্বর ও সর্দিজনিত কারণে বমি হতে পারে।
মাত্রারিক্ত খাবার খেলে।
ফুড পয়সনিং।
বমি প্রতিরোধে করণীয়
বমি প্রতিরোধ করতে হলে যে সমস্ত রোগ বা কারণে বমি হয়, সেগুলো প্রতিরোধের দিকে নজর দিতে হবে:
নিয়মিত হাত ধোয়া, বিশেষ করে পায়খানা থেকে আসার পর ও ডায়পার পরির্বতন করার পর।
শিশুকে যে খাবার পরিবেশন করবেন তা যেন অর্ধসিদ্ধ, অপরিচ্ছন্ন না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বাইরের খাবার না দিয়ে বাড়িতে তৈরি খাবার দেবার চেষ্টা করুন।
বমি হলে পারিবারিক যত্ন
শিশুর ডিহাইড্রেশন বা পানিশূণ্যতা যাতে না হয়ে পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন। খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি ও অন্যান্য তরল খাবার খাওয়ান।
বমি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কঠিন খাবার বন্ধ রাখুন।
তীর্যক গন্ধযুক্ত পারফিউম, খাবারের গন্ধ, স্যাতস্যাতে ও চোখ ধাঁধানো আলোর সংস্পর্শ থেকে শিশুকে দূরে রাখুন। এগুলো শিশুর বমির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
বমি নিরোধক ঔষধ যেমন ওনডাসেট্রন জাতীয় ঔষধ শিশুকে দিতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৫