প্রায়শঃই বলা হয় তুমি তাই যা তুমি খাও। মানে খাদ্যগ্রহণের ভিত্তিতেই তৈরি হয় মানুষের শরীরের গড়ন।
আর মায়ের এই খাবার তার গর্ভকালের নয়, বরং তারও আগের। মায়ের খাদ্যাভ্যাস তার অনাগত শিশুর শরীরের ওপর ফেলে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব।
মায়ের খাবারের কারণেই শিশু আক্রান্ত হতে পারে বিভিন্ন রোগে যা সর্দি-কাশি থেকে এইচআইভি হয়ে ক্যান্সার পর্যন্ত।
লন্ডন স্কুল অব হায়জিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিন এই তত্ত্ব দিয়েছে। তারা বলেছে, মায়েদের গর্ভপূর্ব খাদ্যাভাসের বড় ভূমিকা রয়েছে।
গবেষণাপত্রের লেখক অধ্যাপক এন্ড্রু প্রেনটিস বলেন, এর সম্ভাব্য প্রভাবের মাত্রা ভীষণ।
তার সহকর্মী ড. ম্যাট সিলভার বলেন, ‘এখন আর কেবল যে গর্ভবতী হলেই খাবার-দাবারে সচেতন হবেন তা নয়, সচেতন থাকতে হবে আগে থেকেই।
গবেষণার আওতায় ১২০ নারীকে আনা হয়। যাদের অর্ধেক শুকনো মওসুমে ও অর্ধেক বর্ষা মওসুমে সন্তানসম্ভবা হন। গর্ভধারণের গোড়াতেই তাদের শরীরে পুষ্টির মান নির্ণয় করে নেন গবেষকরা। এরপর যখন তাদের সন্তানের জন্ম নেয়, তাদের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে দেখা হয়। গর্ভে জীবন সৃষ্টির দিন কয়েকের মধ্যেই দেখা যায় শুষ্ক মওসুমের সন্তানগুলো একটু বেশিই সক্রিয়, কারণ এই সময় খাবারের প্রাচুর্য থাকে। গর্ভে উচ্চমাত্রায় সক্রিয়তা ক্যান্সার রোধ করে। আর বর্ষা মওসুমে গর্ভধারণ হলে সন্তানের ভাইরাস, সর্দিকাশি, পেটব্যথা থেকে এইচআইভি পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ থাকে।
বাংলাদেশ: ০১০৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৫
এমএমকে