ঢাকা: বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
রোববার (১৪ জুন) সকাল ১১টায় বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিটের কারণে হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয়তলার ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
দুপুর পৌনে ২টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্যাথলজি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ফলে, সকাল থেকে রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা করাতে আসা রোগীদের ফিরে যেতে হয়।
বৃহস্পতিবার চিকিৎসা নিতে ফরিদপুর থেকে ঢাকায় আসেন রওশন আরা (৬০)।
বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, বাড্ডায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ওই দিনই হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন রওশন। তাকে রক্ত পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিলেও অসুস্থতার কারণে ফিরে যান তিনি।
রোববার প্যাথলজিতে রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা করাতে এলেও বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত প্যাথলজির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এদিনও ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রওশন।
এ বিষয়ে ক্লিনিক্যাল প্যাথোলজি বিভাগের প্রধান ডা. কাজী ইয়াসমিন সাত্তার জানান, হঠাৎ শর্টসার্কিটের কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় আপাতত প্যাথলজির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মেরামতের কাজও চলছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আব্দুল গফুর জানান, সংশ্লিষ্টরা ইতোমধ্যে মেরামত কাজ শুরু করছেন। আশা করা যাচ্ছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাভাবিক প্যাথলজি কার্যক্রম শুরু হবে। রোগীদের আর ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৫
এজেডএস/এটি/এবি