ঢাকা: অসুস্থতা বলে কয়ে আসে না। তবে, আপনি কী ধরনের অসুখে পড়বেন তা নির্ধারণ করবে আপনার জন্মের মাসটি।
সম্প্রতি একথাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। জন্ম মাস বা ঋতুর সঙ্গে আক্রান্ত রোগের এ বিষয়টি নির্ণয়ের জন্য একটি সফটয়্যারও তৈরি হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক সিটি মেডিকেল গাণিতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে তথ্য প্রকাশ করে ৫৫টি রোগ, যা কিনা জন্ম মাসের ওপর নির্ভরশীল।
কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, মে মাসে জন্মগ্রহণকারীদের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম ও যাদের জন্ম অক্টোবর মাসে তাদের অসুখে পড়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।
কলোম্বিয়ার বিজ্ঞানীরা নিউ ইয়র্ক প্রেস বিটেরিয়ান হাসপাতাল/ কলোম্বিয়া ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের ১৯৮৫ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এই হাসপাতালে সেবা নেওয়া ১৭ লাখ রোগীর মেডিকেল ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করেছেন।
গবেষণায় এক হাজার ছয়শ’ ৮৮টি রোগের সঙ্গে জন্ম মাস বা ঋতু তুলনা করা হয়। ফলাফলে এক হাজার ছয়শ’টিরও বেশি রোগের সঙ্গে জন্ম মাসের সংযোগ পেয়েছেন বলে দাবি করেন গবেষকরা।
এসব ছাড়াও নতুন আরও ১৬টি রোগের ওপর ঋতুর প্রভাব আবিষ্কার করেছেন তারা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে নয় প্রকার হৃদরোগ। যা যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যুর কারণ।
কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইনফরমেটিক্সের সহকারী অধ্যাপক ডক্টর টেটোনিট্টি জানান, রোগের ওপর জন্মমাসের ঋতুর প্রভাব থাকলেও ব্যক্তির দৈনন্দিন খ্যাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের প্রভাব তুলনামূলক বেশি ।
বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্যমতে, অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়া শিশুদের মধ্যে জুলাই ও অক্টোবরে জন্ম নেওয়া শিশুদের সংখ্যাই বেশি। অন্যদিকে সুইডেনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারেক্টেভিটি ডিসওর্ডারে (এডিএইচডি) আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশিরভাগেরই নভেম্বরে জন্ম।
মার্চে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিদের আট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন, কনজেসটিভ হার্ট ফেইলর ও মিট্রাল ভাল্ব ডিসঅর্ডার হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন রোগে আক্রান্ত ৪০ জন ব্যক্তির মধ্যে একজনের জন্ম মার্চ মাসে।
শুধু সাম্প্রতিক গবেষণাই নয়, পূর্ববর্তী অস্ট্রিয়ান ও ডেনিশ রোগীদের ওপর গবেষণার উপাত্তে দেখা গেছে, মার্চ থেকে জুনে যাদের জন্ম তারা হৃদরোগে আক্রান্ত বেশি হন। একইসঙ্গে তাদের আয়ু কম থাকে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪১ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৫
এএ