ঢাকা: পৃথিবী জুড়ে মানুষের প্রধান খাবার ভাত হওয়ায়, এর মধ্য দিয়েই মানবদেহে সবচেয়ে বেশি আর্সেনিক প্রবেশ করে। আর্সেনিক একটি সেমি-মেটালিক কেমিক্যাল যা প্রাকৃতিকভাবেই মাটির নীচে পাওয়া যায়।
শরীরের আর্সেনিকের মাত্রা বেশি হলে অস্বাভাবিক ব্যাথা, ডায়রিয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি আর্সেনিক মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।
ভাত রান্না করার সময় চাল ধোয়ায় এবং গরম পানিতে সেদ্ধ করায় আর্সেনিক অনেকাংশেই কমে যায়। তবে আর্সেনিক দূর করার নতুন এক পদ্ধতি আবিস্কার করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, বৃহৎ এলাকা জুড়ে ধান উৎপাদন করার ফলে কখনও কখনও ধান বন্যার পানিতে ডুবে যায় বা ধানক্ষেতে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে। যে কারণে ফসলে আর্সেনিকের মাত্রা বেড়ে যায়। ভাতে থাকা আর্সেনিক মানুষের মৃত্যুর কারণ না হলেও যতটা সম্ভব এটি বিষমুক্ত করে খাওয়া উচিৎ।
ভিন্ন একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে গবেষকরা বলছেন, রান্না করার সময় চাল যখন পানির সংস্পর্শে আসে তখন আর্সেনিক ফল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলাও আর্সেনিক মুক্ত করার একটি পদ্ধতি হতে পারে।
বৃক্ষ এবং মাটি বিজ্ঞনী অ্যান্ড্রো মেহার্গ এবং তার সহকারী যুক্তরাজ্যের বেলফাস্টে অবস্থিত কুইন্স ইউনিভার্সিটির দল ধারণা করছেন, অনেক পানি দিয়ে ভাত রান্না করা হলে আর্সেনিকের মাত্রাও কমে আসবে।
হাইপোথিসিসটি পরীক্ষা করতে তারা কফি মেকারে ভাত রান্না করেন এবং ফলাফলে দেখা যায়, চুলায় ভাত রান্না না করে কফি মেকারে করা হলে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি আর্সেনিক দূর হয়।
গবেষকদের বিশ্বাস, এই গবেষণাটি রাইস কুকার যন্ত্র প্রস্তুতকারকদের নতুন ধরনের যন্ত্র তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৫
এটি