ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টারে টিকিটপ্রার্থীদের ভিড় থাকলেও, তাদের দাঁড় করিয়ে রেখেই দালালদের সঙ্গে আড্ডায় মশগুল টিকিটম্যানরা।
এ সময় টিকিটের জন্য কাউন্টারের সামনে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরে বাংলানিউজের এ প্রতিবেদক সরেজমিনে এমন দৃশ্য দেখেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢামেক’র চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী বাংলানিউজকে জানান, এসব নিত্যদিনের ঘটনা। এমনটা অনেকদিন ধরেই চলে আসছে।
তিনি আরও জানান, ঢামেক জরুরি বিভাগের টিকিট মূল্য ১০ টাকা। এছাড়া রোগীকে ভর্তি করতে হলে ফাইল ফি নেওয়া হয় ১৫ টাকা। কিন্তু টিকিটম্যানরা রোগী ও তাদের স্বজনদের কাছ থেকে এজন্য অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে থাকেন।
জানা গেছে, ঢামেক জরুরি বিভাগে প্রতিদিন বিকেলে দালাল ও অন্যদের নিয়ে নাস্তা ও আড্ডার আয়োজন করেন টিকিটম্যানরা।
এ প্রতিবেদকের তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জরুরি বিভাগে টিকিটের দালাল কবির ও বার্ন ইউনিটের দালাল সবুজ কাউন্টারের ভেতরে টিকিটম্যান মনির হোসেনের সঙ্গে খোসগল্পে মশগুল। যদিও এ সময় টিকিট কাউন্টারে জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা টিকিটপ্রার্থীদের ভিড় ছিল।
বিষয়টি স্বীকার করে ঢামেক জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জ মো. বাতেন বাংলানিউজকে বলেন, আগামীকাল (১১ আগস্ট) থেকে কোনো দালালকে টিকিট কাউন্টারে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এদিকে ঢামেক জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন (আরএস) ডা. রিয়াজ মোর্শেদও বিষয়টি একবাক্যে স্বীকার করেছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কাউন্টারে টিকিটম্যাররা টিকিটপ্রার্থীদের কাছ থেকে বেশি টাকা নেয়, এমন অনেক মৌখিক অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ব্যবস্থা নিতে পারছি না।
তবে এবার কাউন্টারের মধ্যে দালালদের আড্ডা ও টিকিটপ্রার্থীদের হয়রানির বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৫
এজেডএস/আরএম