ঢাকা: হৃদরোগীদের উন্নত চিকিৎসা পেতে আর দেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। গত কয়েক বছরে জটিল হৃদরোগীদের চিকিৎসায় বাংলাদেশ অনেকটা এগিয়ে গেছে।
বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় দ্বিতীয় তলার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক কনফারেন্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান এসব কথা বলেন।
দেশে হৃদরোগের চিকিৎসা বিষয়ে গবেষণালব্ধ জ্ঞানের আদান-প্রদান এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএসএমএমইউ’র কার্ডিওলজি বিভাগ ও দ্য সোসাইটি ফর স্টাডি অব চেস্ট পেইন যৌথভাবে “আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় করোনারি এনজিওপ্লাস্টি (ইন্ট্রাভাসকুলার আল্ট্রাসাউন্ড-আইইউভিএস) বিষয়ক কর্মশালা, গাইডেড পিসিআই এবং সায়েন্টিফিক কনফারেন্সের (বৈজ্ঞানিক সম্মেলন) আয়োজন করে।
কামরুল হাসান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে বর্তমান প্রশাসন প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এখন শুধু দরকার জায়গা ও যথাযথ বরাদ্দ নিশ্চিত করা।
দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালা ও বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা.কামরুল হাসান খান বক্তব্য রাখেন।
বিএসএমএমইউ’র কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ক্লিনিক্যাল কার্ডিওলজি ইউনিটের ডিভিশন প্রধান ও দ্য সোসাইটি ফর স্টাডি অব চেস্ট পেইন-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের ইন্টারভেনশন ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আবু সিদ্দিক। ছাড়াও বিএসএমএমইউ’র সহকারী প্রক্টর ডা. এস এম মোস্তফা জামান, কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ সফি উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতের মুম্বাইয়ের ড. এল. এইচ. হীরানান্দানী হসপিটালের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. এ. ভি. গণেষ কুমার।
এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
এটি