ঢাকা: স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি হলেও পিছিয়ে পুষ্টিখাতে। এ খাতে যা উন্নয়ন হয়েছে, তা যথেষ্ট নয় বলে দাবি বিশিষ্টজনের।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘মাদার-ফ্রেন্ডলি আরবান ওয়ার্কপ্লেস মডেল টু সাপোর্ট ওয়ার্কিং মাদার ইন অ্যাপ্রোপ্রিয়েট ইনফ্যান্ট অ্যান্ড ইয়ং চাইল্ড ফিডিং’ শীর্ষক প্রজেক্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বেসরকারি সংস্থা এমিনেন্স আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ নিউট্রিশনের (আইপিএইচএন) পরিচালক ডা. মো. কামরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হেদায়েতউল্লাহ আল মামুন। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার।
প্রধান আলোচক ছিলেন- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এবং এমিনেন্সের সহসভাপতি এমএম রেজা।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্য সচিব বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষের সেবা দেওয়া রাষ্ট্রযন্ত্রের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য বেসরকারি সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়েছি। তবে এখনো সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। আমাদের আরো অনেক দূর যেতে হবে।
প্রধান আলোচক এমএম রেজা বলেন, দেশের ৩৩ ভাগ শিশু আন্ডার ওয়েটে (কম ওজন) ভুগছে। এছাড়া ৩৬ ভাগ শিশু আছে, যারা বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম। এই ৩৩ ভাগ শিশু অপুষ্টিজনিত কারণে আন্ডার ওয়েটে রেখে কীভাবে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া যাবে!
তিনি বলেন, আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যত। অথচ এখনো বিপুল সংখ্যক শিশু পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। তাই, শুধু শহর বা বিত্তবানদের কথা না ভেবে সব শিশুর কথা চিন্তা করেই পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে।
স্বাস্থ্যসচিব বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আমাদের অনেক সফলতা আছে। পুষ্টিখাতেও অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে এ খাতে আরো বেশি ভালো করা দরকার। পুষ্টিখাতের অগ্রগতি নট এনাফ (যথেষ্ট নয়)।
তিনি বলেন, পৃথিবীর কম দেশেই মাতৃত্বকালীন ৬ মাস ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে বেতন কাঠামো দিয়েই ছুটি দেওয়া হয়। এটা একটি বড় অর্জন। সরকার প্রতিটি সংস্থায় ডে-কেয়ার সেন্টার চালু করার নির্দেশ দিয়েছে। এক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতিও হয়েছে।
শ্রমসচিব বলেন, সরকার ২০১৩ সালে শ্রমআইন সংশোধন করেছে। শ্রমিকের নিরাপত্তা, অধিকার সমুন্নত রেখে শ্রম আইন করা হয়েছে। শ্রমআইনে প্রতিটি সেক্টরে ডে-কেয়ার সেন্টার চালুর নির্দেশ দেওয়া আছে। এ মুহূর্তে সরকারি-বেসরকারি মিলে ৩ হাজার ৬০০টি ডে-কেয়ার সেন্টার চালু করা হয়েছে। যে সব প্রতিষ্ঠানে এখনো ডে-কেয়ার সেন্টা নেই, সেখানেও করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
এসএম/এবি