ঢাকা: ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষণীয় আপনি ক্যালরি কতটা নিচ্ছেন তা খেয়াল করা। বাড়তি ওজন কমাতে হলে শুধু খাদ্যতালিকা থেকে ফ্যাটজাতীয় খাবারগুলোকে বাদ দেওয়াই মূল কথা নয়।
একইসঙ্গে দৈনিক কোন কোন খাদ্য উপাদান শরীরে প্রবেশ করছে এবং তা আপনার সঠিক ওজন ধরে রাখতে কতটুকু সহায়তা করবে তা জানা।
বাড়তি ক্যালরি পোড়াতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার ও এন্টি-অক্সিডেন্ট। আবার যেসব খাবারে জিআই (গ্লাইসেমিক ইনডেক্স) কম সেগুলো রক্তের শর্করার মাত্রা ও ইনসুলিনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে।
বিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্যকারী এসব উপাদান শরীর থেকে চর্বি দূর করে। একবার জেনে নিই ওজন কমাতে ও ক্যালরি পোড়াতে কী কী খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন-
প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার
পরিপাক প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে প্রোটিন এক প্রকার তাপ উৎপন্ন করে। ফলে শরীরের ৩০ শতাংশ ক্যালরি ভেঙে যায়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ, কম ফ্যাট-উচ্চ ফাইবার ও প্রোটিন সমৃদ্ধ মটরশুটি এবং প্রয়োজনীয় চর্বি, ফাইবার সমৃদ্ধ বাদামে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। এগুলো শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট অপসারণ করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। একটা তথ্য অনেকেরই অজানা, তা হলো ডিম ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে।
শস্যদানা
প্রতিদিনের খাবারে শস্যদানা রাখা প্রয়োজন। ভিটামিন বি, ই, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার সমৃদ্ধ শস্যদানা চর্বি কমায়, রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে ও বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। শস্যদানার মধ্যে রয়েছে ওটমিল, জোয়ার, বাজরা, রাগি ইত্যাদি। ওটমিলে রয়েছে বিটা গ্লুকেন যা চর্বি শুষে নেয়। ধীরে ধীরে সময় নিয়ে পরিপাক হয় বলে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুধা অনুভূত হয় না।
আপেল
আপেলে রয়েছে প্যাকটিন নামক এক প্রকার শাল জাতীয় উপাদান। এই রাসায়নক পদার্থটি পানি ও নির্দিষ্ট পরিমাণ ফাইবারের সংমিশ্রণ। তাই এটি দীর্ঘসময় ক্ষুধা নিবারণ করতে সহায়ক।
দারুচিনি
দারুচিনি চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। সকালে চায়ের কাপে এক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া বা হালকা গরম জলে এক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া ও মধু দিয়ে খেতে পারেন।
সবুজ পাতাযুক্ত শাক-সবজি
উচ্চ ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সবুজ শাক-সবজি ক্যালরি কমায়। এসব শাক-সবজির জুস বডি ক্লিনজিং হিসেবে কাজ করে। বিপাক প্রক্রিয়ায় সহায়তা ও চর্বি কমায়।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৫
এসএমএন/এএ