ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মানসিক স্বাস্থ্যখাত অনেক অবহেলিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৫
মানসিক স্বাস্থ্যখাত অনেক অবহেলিত ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: মানসিক স্বাস্থ্যখাত অনেক বেশি অবহেলিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম)।
 
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর উদ্যোগে ‘বৈশ্বিক মানসিক স্বাস্থ্য’ বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।



আইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বিউটিফুল মাইন্ডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. শামীম মতিন চৌধুরী।

এছাড়া প্রধান বক্তা ছিলেন ভারতের পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক বিক্রম প্যাটেল।
 
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইউবি’র উপাচার্য ও মনোচিকিৎসক অধ্যাপক এম ওমর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইইউবি’র প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী ও বোর্ড অব ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রাশেদ চৌধুরী।
 
একজন মানসিক রোগীর উদাহরণ টেনে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, যেকোনো পরিবারের সন্তান বা যে কারও মানসিক সমস্যা দেখা দিলে আমরা নিয়ে যাই পাবনা মেন্টাল হেলথ হাসপাতালে। কিন্তু এখানে একজন মানসিক রোগী ডাক্তারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরামর্শের অভাবে দীর্ঘ সময় হাসপাতালেই পড়ে থাকেন। পরিবারও তাকে আনতে চায় না। এভাবে মানসিক রোগীদের অবজ্ঞা করা হয়।
 
তিনি বলেন, বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে নজরে আনার জন্য চেষ্টা চলছে। এর পাশাপাশি আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন দরকার।
 
অধ্যাপক বিক্রম প্যাটেল বলেন, সামাজিক কুসংস্কার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বড় প্রভাব ফেলে। বিশ্বের  সব দেশেই মানসিক স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ কম রাখা হয়। এ খাত সবসময় অবহেলিতই থাকে। এছাড়া আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখায় না।
 
তিনি বলেন, উন্নত দেশে ৫০ শতাংশ মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা হয় না। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত দেশে এ হার ৯০ শতাংশ। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের বেশি বেশি সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করা দরকার। পৃথিবীর সব দেশেই এ প্রোগ্রামগুলো ইতিবাচক ফল আনতে পারে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৫
এসএম/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।