ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ফার্ম-ব্রিড তেলাপিয়ায় হৃদরোগ-ক্যান্সারের ঝুঁকি!

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
ফার্ম-ব্রিড তেলাপিয়ায় হৃদরোগ-ক্যান্সারের ঝুঁকি! তেলাপিয়া

ঢাকা: আমেরিকায় বেশি খাওয়া হয় এমন মাছের মধ্যে তেলাপিয়া রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। আমাদের দেশসহ এশিয়ায় এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।



অনন্য স্বাদের এ মাছটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভালো, তা নির্ভর করছে এটি কোথা থেকে এসেছে। অর্থাৎ এটি খাল-বিলে বিনা চাষে জন্মানো (যাকে আমরা দেশি তেলাপিয়া বলি) নাকি ফার্ম-ব্রিড তেলাপিয়া।

বর্তমানে বাজারে ফার্ম-ব্রিড তেলাপিয়াই বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু ফার্মের তেলাপিয়ার সঙ্গে চাষ না করা তেলাপিয়ার পার্থক্য হচ্ছে, এসব তেলাপিয়া খাল-বিলে থাকে। এদের প্রধান খাবার জলজ উদ্ভিদ ও শ্যাওলা। অন্যদিকে, ফার্মের তেলাপিয়াকে খাওয়ানো হয় সয়া বড়ি, ভ‍ুট্টা ও ফিশ ফুড।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ফার্ম-ব্রিড তেলাপিয়া খেলে শরীরে বিদ্যমান অ্যাজমা, হৃদরোগ ও আর্থ্রাইটিসের কারণে হওয়া প্রদাহ আরও বেড়ে যায়।

অনেকের ধারণা, তেলাপিয়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের উৎস। যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস করে। কিন্তু বাস্তবে, প্রদাহ সৃষ্টির জন্য ফার্ম-ব্রিড তেলাপিয়া বেকন ও হ্যামবার্গারের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর।

কারণ, পুকুরে চাষ করা তেলাপিয়ায় বেশি চর্বি থাকে। ফার্ম-ব্রিড তেলাপিয়ায় প্রোটিনের পরিমাণ কম থাকে ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের পরিবর্তে থাকে ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড। শরীরে অতিরিক্ত ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড প্রবেশ করলে তা প্রদাহ বাড়ায় ও স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

এছাড়াও বিনা চাষের তেলাপিয়ার চেয়ে ফার্ম-ব্রিড তেলাপিয়া ১০ গুণ বেশি ক্যান্সারের জীবাণু ছড়ায়। কারণ, এদের খাবারের মূল উপকরণের মধ্যে হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন প্রাণীর বর্জ্য মেশানো হয়।

যেহেতু ফার্মে অল্প জায়গায় অনেক মাছের চাষ করা হয়, ফলে এদের মধ্যে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। এ কারণে মাছকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এছাড়াও সি-লাইস নামক কীট এড়াতে পেস্টিসাইডও ব্যবহার করা হয়। যা মানুষের দেহের জন্য ক্ষতিকারক।

আরেকটু বিস্তারিত বলতে গেলে, ফার্ম-ব্রিড তেলাপিয়ায় ডাই-অক্সিনের মাত্রা অনেক বেশি। খাল-বিলের তেলাপিয়ার চেয়ে ফার্ম-ব্রিডে কমপক্ষে ১১ গুণ বেশি ডাই-অক্সিন থাকে। ডাই-অক্সিন শুধুমাত্র টক্সিক উপাদান নয়, এটি ক্যান্সারও তৈরি করে।

সবচেয়ে ঝুঁকির বিষয় হচ্ছে, ডাই-অক্সিন সহজে শরীরে প্রবেশ করলেও তা সহজে বের হয় না।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
এসএমএন/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।