ঢাকা: মানবজাতির সামনে এবার মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে ব্যাকটেরিয়া। একে বলা হচ্ছে, 'antibiotic apocalypse'।
পেপারকাটিং শুধু নয়, এমনকি যে কোনো অস্ত্রোপচারকালে এই ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে রোগীর দেহে। এমনকি প্রতিটি শিশুর জন্মই মৃত্যুর ‘ডাইস’ হয়ে আবির্ভূত হবে একদিন। এভাবে একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে এই সুপারবাগ ব্যাকটেরিয়া ছড়াতেই থাকবে। কিন্তু একে বাগ মানাতে মানবজাতি হিমশিম খাবে---যদি অচিরকালের মধ্যে এই সুপারবাগকে ধ্বস করার মতো উপযুক্ত ওষুধ বা অ্যান্টবায়োটিক উদ্ভাবন করা না যায়। .
বিজ্ঞানীরা মহাশক্তিধর সুপারবাগ ব্যাকটেরিয়ার সম্ভাব্য এই অজেয় অবস্থানকে বর্ণনা করেছেন এভাবে: ‘...we are approaching a "doomsday scenario".। সোজা ভাষায়, মানবজাতির জন্য এ-এক কেয়ামত বা সাক্ষাৎ গজব।
অ্যান্টিবায়োটিক রিসার্চ, ইউকে-র প্রধান নির্বাহী প্রফেসর কলিন গারনার বলছেন, ব্যাকটেরিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক ধ্বংস করার এই মহা-ক্ষমতাকে মানবজাতির জন্য ‘কেয়ামত’ বা ‘গজব’ ('apocalypse') বলাটাই হবে যুক্তিযুক্ত; কেননা জীবাণুর বিরুদ্ধে এখন প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক আমাদের যে সুরক্ষা-সুবিধা দিয়ে থাকে সেই সুবিধা আমরা আর পাবো না।
কারণ প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক, এমনকি সর্বশেষ যে অ্যান্টিবায়োটিক উদ্ভাবন করা হয়েছে তা-ও, ভবিষ্যতের সুপারবাগ ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে পারবে না।
তিনি মনে করিয়ে দেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মারা যাওয়া সৈন্যদের এক তৃতীয়াংশের মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিল ব্যাকটেরিয়া। পরে ১৯২৮ সালে আলেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিস্খার করে মানবজাতিকে রক্ষা করেন। আর এখন সুপারবাগ ব্যাকটেরিয়াকে কাবু করার মতো কার্যকর ওষুধ বের করা না গেলে মানবজাতির সামনে আগুয়ান মহাপ্রলয় বা গজব ঠেকানোর আশা ক্ষীণ।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
জেএম