ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

হাড়ের ব্যথায় কট মাছের কাটা!

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৫
হাড়ের ব্যথায় কট মাছের কাটা! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ‘যেকোনো হাড়ের ব্যথায় ব্যবহার করবেন কট মাছের কাটা। ইনশাল্লাহ মন্ত্রের মতো কাজ করবে।

আমরা বংশগতভাবে যুগ যুগ ধরে বিক্রি করে আসছি ব্যথানাশক এ মাছের কাটা’।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে এসব কথা বলেই মাছের কাটা বিক্রি করছিলেন রাসেল নামে এক হকার। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বাগান গেটের সামনের রাস্তায় বাঁশের কঞ্চিতে কাটাগুলো দাঁড় করিয়ে রীতিমতো মজমা বসিয়েছিলেন তিনি।

তার এ ধরনের বক্তব্য শুনে জড়ো হন অনেক মানুষ। কাছের কাটাও কিনে নেন অনেকেই। এর মাঝে অনেকেই বলছেন, মাছের কাটায় নাকি উপকারও পেয়েছেন!

রাসেল বলেন, যুগ যুগ ধরে এ কট মাছের কাটা বিক্রি করে আসছি। বংশ পরম্পরায় আমার দাদা ও বাবার পরে আমি নিজেই এখন বিক্রি করছি। এটি নিয়ে উপকৃত হচ্ছেন রোগীরা।

কাইতন দিয়ে এ কাটা মাজায় বেঁধে দিলে যেকোনো ধরনের হাড়ের ব্যথা থাকবে না বলে দাবি করেন রাসেল।

প্রতিটি কট মাছের কাটা বিক্রি করছেন ২০ টাকায়।

জীবন নামে এক দোকানি রাসেলকে বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আমার মাজার ব্যথাটা কমিয়ে দেন। তখন তিনি কাটাওয়ালা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তার হাতে দু’টি বাড়ি দিয়ে বলেন, কমবে, তবে মাছের কাটা কোমরে ব্যবহার করতে হবে।   এক পর্যায়ে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। এর মধ্যে অনেকই বলছেন, আমরাও কিনেছি, এ মাছের কাটা ‍‍অনেক উপকারে আসে! সব জায়গায়ই প্রতিটি বিক্রি হয় ২০ টাকায়।

বাংলনিউজের সঙ্গে আলাপকালে রাসেল বলেন, আমার বাবার নাম হক সাহেব, দাদার নাম আব্দুল লতিফ। আমরা থাকি কাঁচপুর বালুর মাঠ এলাকায়। গ্রামের বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলায়। আমার ওইখানে থেকে মাছের কাটা বিক্রি করি। আমাদের পূর্বপুরুষ থেকেই এ ব্যবসা করে আসছি।  

তিনি বলেন, আমার দাদা আব্দুল লতিফ এ মাছের কাঁটাগুলো কলকাতা থেকে কিনে নিয়ে আসতেন। বর্তমানে আমার বাবা চট্টগ্রাম থেকে কিনে নিয়ে আসেন।

তিনি দাবি করেন, এ মাছের কাঁটা সম্পূর্ণভাবে হাড়ের ব্যথা দূর করে। বাঁধতে হবে কোমরে। ব্যথা ভালো হলে অন্য আরেকজনকে দিয়ে দিতে বলি। তারও ব্যথা ভালো হবে। আমি ৫/৬ বছর ধরে এ ব্যবসা করে যাচ্ছি। প্রতিদিন ১৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকার কাটা বিক্রি করি।  

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৫
এজডেএস/বিএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।