ঢাকা: জিকা প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পুণম ক্ষেত্রপাল সিং। এ অঞ্চলের দেশগুলোকে জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের ওপর নজরদারি এবং প্রতিষেধকের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধও করেন পুণম ক্ষেত্রপাল।
মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্বিএশিয়ার আঞ্চলিক অফিসের তথ্য কর্মকর্তা শামিলা শর্মারে দেওয়া এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যপী জরুরি সতর্কতা জারি করেছে, জিকা ভাইরাসের বিষয়ে।
বিজ্ঞপ্তিতে পুণম ক্ষেত্রপাল বলেন, এই অঞ্চলে জিকা সংক্রমণের বাহক এডিস মশা রয়েছে। তবে খুব বেশি জনসংখ্যার মধ্যে জিকা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে থাইল্যান্ড এবং মালদ্বীপে বিক্ষিপ্তভাবে জিকা সংক্রমণের ঘটনা পাওয়া যায়।
১৯৪৭ সালে প্রথমবার উগান্ডায় জিকা ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়। এডিস মশার কামড়ে এটির সংক্রমণ হয়, যেটা ডেঙ্গুরও কারণ। জিকা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণগুলো হচ্ছে জ্বর, গিঁটে ব্যথা, ফুসকুড়ি ও চোখ জ্বালাপোড়া করা। আক্রান্তের এক সপ্তাহ পর্যন্ত লক্ষণগুলো দেখা যায়। এই ভাইরাসের এখনো কোনো প্রতিষেধক নেই বলেও জানান পুণম ক্ষেত্রপাল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক এ অঞ্চলের দেশগুলোকে তাদের গবেষণাগারের দক্ষতা বৃদ্ধি, ভাইরাস ঠেকানো এবং শক্তিশালী নজরদারির জন্যে অনুরোধ করেন। জ্বর, ফুসকুড়ি, স্নায়বিক লক্ষণ এবং নবজাতকদের বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে বলেন তিনি।
সরকারের বিভিন্ন বিভাগ এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের কথা বলেন পুণম। এছাড়াও মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। শরীরের যতটুকু অংশ ঢেকে রাখা যায় এবং মশার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বাড়ির আশেপাশে যেন পানি জমে থাকতে না পারে- এ বিষয়ে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন পুণম ক্ষেত্রপাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৬
এমএন/এমজেএফ/