ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

কতটুকু ঘুমিয়েছেন বিশ্ব ঘুম দিবসে?

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৬
কতটুকু ঘুমিয়েছেন বিশ্ব ঘুম দিবসে? ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: দিনটি সব সময়ই শুক্রবার, আমাদের ছুটির দিনও বটে। তার ওপর আবার বিশ্ব ঘুম দিবস।

ছুটির এই দিনে আয়েশ করে কতটুকুই বা ঘুমালেন?

সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম যে কতটা জরুরি, সে ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে তুলতেই ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুক্রবার ‘বিশ্ব ঘুম দিবস’ পালিত হচ্ছে।

ঘুমের গুরুত্বকে ছোট করে দেখা নয়, বা বেশি ঘুমে সময় নষ্টও নয়। নির্ধারিত হোক পরিমিত ঘুমের নিশ্চয়তা। একটি সুস্থ জীবনে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে চিকিৎসকরা বলছেন, পর্যাপ্ত ঘুম সুস্থ রাখে মানুষের হৃদপিণ্ড, নিয়ন্ত্রণে রাখে শারীরিক ওজন। এছাড়া বাহ্যিকভাবে চোখের নিচের কালো দাগও দূর করে পরিমিত ঘুম।

ঘুমালে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। চিকিৎসকরা বলছেন, ভালো করে ঘুমালে, ভুলে যাওয়ার প্রবণতা কমে।

তবে অতিরিক্ত ঘুমও ভালো নয়। যেমনটা ভালো নয় খুব কম ঘুমও। যা মানুষের আয়ুষ্কালের ওপর প্রভাব ফেলে। ২০১০ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, ৫০-৭৯ বছর বয়সে মৃত নারীদের মধ্যে বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে কম বা বেশি ঘুমানোর কারণে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, পর্যাপ্ত ঘুমান, ভালোভাবে বাঁচুন।

এছাড়া হার্টের অসুখ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিকস, অকাল বার্ধক্যের থেকে শরীরে জ্বলুনি অনুভূতি হয়। গবেষণা বলছে, যারা রাতে ছয় ঘণ্টা বা তার কম ঘুমান, তারাই বেশিরভাগ এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন। কারণ তাদের রক্তে ইনফ্লামেটরি প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ২০১০’র গবেষণায় দেখা যায়, যারা কম ঘুমান, তাদের শরীরে বেশি পরিমাণে সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন দেখা দেয়। যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে যায়।

ঘুমালে বাড়ে সৃজনশীলতাও। হার্ভার্ড ও বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, ঘুমানোর সময় স্মৃতি ও নানা কাল্পনিক বিষয় মাথায় ঘোরাফেরা করে। এজন্য ভালো ঘুম হলে তা সৃষ্টিশীল কাজে বিশেষ সহায়ক হয়। বিশেষত ছবি আঁকা ও লেখালেখির ক্ষেত্রে এটি বিশেষ প্রযোজ্য।

খেলোয়াড়দের জন্য সাফল্যের অন্যতম অস্ত্র এই ঘুমই। স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় যায়, কলেজের ফুটবল খেলোয়াড়রা, যারা রাতে ১০ ঘণ্টা ঘুমান, ৬-৮ সপ্তাহ পর তাদের স্ট্যামিনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। দূরে চলে যায় যাবতীয় ক্লান্তি।

এছাড়া ঘুম অমনোযোগী ভাব কমায়। সেই সঙ্গে ঘুম ভালো হলে দুর্ঘটনার প্রবণতাও কমে। ২০০৯ সালের ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্র্যাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের রিপোর্ট বলছে, মদ্য পান করা অবস্থায় গাড়ি চালানোর থেকেও মারাত্মক দুর্ঘটনা বেশি হয় ক্লান্ত থাকার ফলে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমালে হতাশা কমে। ঘুমে ঘাটতি থেকে আসে হতাশা ও উদ্বেগ।

এতো সব উপকারী ঘুমকে তাই আর তুচ্ছ করে দেখা নয়। এবার ঘুম দিয়ে হোক রাজ্য জয়! ঘুমান পর্যাপ্ত, সাফল্য পান অফুরন্ত...।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৬
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।