ঢাকা: দেশের বন্যাদুর্গত এলাকায় জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৬৯৬টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। ইতোমধ্যে উপদ্রুত এলাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে খাবার স্যালাইন, কলেরা স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।
বুধবার (০৩ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি এবং দুর্গত এলাকায় চিকিৎসা কার্যক্রম সংক্রান্ত জরুরি বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বন্যা উপদ্রুত এলাকায় রোগের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে জন সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক তৎপর থাকতে হবে। বন্যার্তদের মাঝে দ্রুততার সঙ্গে যেন পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সরঞ্জাম পৌঁছে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি প্রয়োজনীয় ওষুধ ও পথ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
উপদ্রুত এলাকায় ৩ হাজার ৩২৭ জনের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে পরিস্থিতির সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বন্যাদুর্গত ১৪ জেলার সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন এনডিসিসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৬
এমএন/জেডএস