ঢাকা: সাম্প্রতিক গবেষণায় বিভিন্ন ফল ও সবজির সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আকৃতি ও গড়নের মিল পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, দেহের যেসব অঙ্গের সঙ্গে যেসব খাবারের আকৃতির মিল রয়েছে, ঐসব খাবার ওই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য আদর্শ।
কেবল আধুনিক গবেষণা নয়, ‘দ্য ডকট্রিন অব সিগনেচারস’ প্রাচীন ইউরোপিয়ান দর্শনেও উল্লেখ রয়েছে, উদ্ভিদ, প্রাণী ও খনিজ প্রায়ই তাদের আকৃতি, গঠন ও কার্যকারিতার মধ্যে সংকেত ধারণ করে। তা নিভৃতে নিজেদের উদ্দেশ্য সাধন করে।
একটি জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়েছে এমনই ১২টি খাবারের কথা, যার সঙ্গে আমাদের দেহাংশের মিল রয়েছে।
গাজর: চোখ
গাজর গোল গোল করে স্লাইস করুন। দূর থেকে একটি স্লাইস দেখুন এটি দেখতে একদম চোখের মণির মতো। একটু কাছে নিলে দেখা যাবে ছোট ছোট দাগ। যেমনটা আমাদের মণিতে থাকে। ভিটামিন ও এন্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত গাজরে রয়েছে প্ল্যান্ট কেমিক্যাল বিটা ক্যারোটিন। বিটা ক্যারোটিনের জন্যই এর রং কমলা। বিটা ক্যারোটিন চোখের জ্যোতি বাড়ায় ও ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
আখরোট: মস্তিষ্ক
আখরোটের গড়ন মস্তিষ্কের মতো। ঠিক তেমনই ভাঁজ ও রেখা। এমনকি তাদের ডান ও বাম মস্তিষ্কের মতো আকৃতিও রয়েছে। আখরোটে রয়েছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকে বাড়ায়। এটি ডিমেনশিয়া প্রতিরোধক। গবেষণায় দেখা গেছে, আখরোট আলজেইমার্স রোগীদের মস্তিষ্কে প্রোটিন বেসড প্লেক অপসারণ করে। এজন্য একে সংক্ষেপে ব্রেইনফুড বলে।
সেলারি: হাড়
সেলারির ডালপালার সঙ্গে হাড়ের সাদৃশ্য রয়েছে। সিলিকনের ভালো উৎস হওয়ায় এটি হাড়কে মজবুত রাখে। মজার কথা হলো, হাড়ে ২৩ শতাংশ সোডিয়াম থাকে। অন্যদিকে সেলারিতেও থাকে ২৩ শতাংশ সোডিয়াম। যখন আমাদের ডায়েটে যথেষ্ট পরিমাণে সোডিয়াম না থাকে তখন শরীর হাড় থেকে সোডিয়াম ব্যবহার করতে শুরু করে। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে যায়।
কমলা ও আঙুর: স্তন
কমলা স্তনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক রঙহীন লসিকা চলাচলে সাহায্য করে। অন্যদিকে আঙুরে রয়েছে লিমোনয়েড। যা স্তনে কোষ উন্নয়ন প্রতিরোধ করে।
মিষ্টি আলু: অগ্ন্যাশয়
মিষ্টি আলুর গড়নের সঙ্গে অগ্ন্যাশয়ের একটি শক্তিশালী মিল রয়েছে। এটি অঙ্গটিকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রেও কাজ করে। বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবারটি শরীরের সব টিস্যুকে ক্যানসার ও বয়সজনিত ক্ষতি থেকে রেহাই দেয়। ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে।
টমেটো: হৃৎপিণ্ড
টমেটো কেটে দু’ভাগ করলে দেখা যাবে এর ভেতরের কয়েকটি চেম্বার মিলিয়ে দেখতে অনেকটা হৃৎপিণ্ডের মতো। টমেটোতে রয়েছে লাইকোপেন। উদ্ভিজ্জ এ কেমিক্যাল বিভিন্ন হৃদরোগ ও বেশ কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করে। টমেটো যদি স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সঙ্গে মেশানো হয় তাহলে শরীর আরও দশগুণ ভালোভাবে লাইকোপেন শুষে নিতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৬
এসএমএন/এএ