ঢাকা: বাংলাদেশের ৪০টি ওষুধ কোম্পানি আন্তর্জাতিক মানের। তবে সবমিলিয়ে ১২৩টি কোম্পানি বিদেশে ওষুধ রফতানি করে।
বুধবার (১০ আগস্ট) মহাখালীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে পুরো বছরে যেখানে ওষুধ শিল্পে রপ্তানি আয় ছিলো ৮৩১ কোটি টাকা। সেখানে এ বছর প্রথম ছয় মাসেই রফতানি হয়েছে ৯৩৪ কোটি টাকার ওষুধ। ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে। দেশেই আমাদের ১৬ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে। এছাড়া ১৪ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকার মেডিকেল ডিভাইসের বাজার রয়েছে।
মেডিকেল ডিভাইস বলতে- সিরিঞ্জ, ক্যানেল, ব্লাড ব্যাগ, হার্টের রিং, টেস্ট, গজ, ব্যান্ডেজসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতিকে বোঝানো হয়।
মহাপরিচালক বলেন, দেশের ওষুধ শিল্পে কাঁচামালের বাজার রয়েছে ১ হাজার ২শ’ কোটি টাকার। যার প্রায় সবই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তবে দেশীয় ৩০ থেকে ৩৫টি কোম্পানি ইতোমধ্যে কিছু কাঁচামাল তৈরি শুরু করেছে। তবে সেটি একেবারেই কম। এজন্য আমরা কাঁচামাল প্রস্তুতের দিকেও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। এক্ষেত্রে ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়া হবে।
দেশের বাজারে অলটারনেটিভ ওষুধের চাহিদাও রয়েছে ৫ থেকে ৬শ’ কোটি টাকা। অলটারনেটিভ ওষুধ বলতে- ভেষজ, হোমিওপ্যাথিক প্রভৃতিকে বোঝায়।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিনসহ অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৬
ইইউডি/জিসিপি/আরআই
** ৩৪ কোম্পানির ওষুধে 'ভেজাল', না কেনার পরামর্শ