নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এটা শরীরের ‘পাক করার স্থল’ বা ‘রান্না করার জায়গা’। আমরা যা খাই তার বেশির ভাগই এখানে রান্না হয়।
পাকস্থলীকে ইংরেজীতে বলা হয় স্টোমাক। এটা ল্যাটিন ভাষা থেকে এসেছে। আর এর অর্থ হলো মুখ।
এর অবস্থান পেটে। আরো সূক্ষভাবে বলতে গেলে এর অবস্থান পেটের বাম পাশে। ডায়াফ্রাম নামের একটা বিভেদকারী মোটা পর্দা দিয়ে বুক থেকে পৃথক করা। একজন পূর্ণ মানুষের পাকস্থলী ২ থেকে ৩ লিটার এর মতো খাদ্য ধারণ করতে পারে। এটা ডানদিকে বাঁকানো থাকে। এজন্য এ ফাঁপা মাংশল অঙ্গতে দু’টা বাঁক তৈরী হয়। একটাকে ছোট আর অন্যটাকে বড় বাঁক বলা হয়।
এর চারটা অংশ। কার্ডিয়া, ফান্ডাস, বডি বা কর্পোরাস আর পাইলোরাস।
এর অবস্থান গলবিল আর ক্ষুদ্রান্ত্রের মাঝামাঝি স্থানে। এখান থেকে খাদ্যকণা বিশ্লিষ্ট হয়ে ক্ষুদ্রান্ত্রে যায়, শোষিত হবার জন্য।
এর মধ্যে খাদ্যদ্রব্যের প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত হয় দু’টা গেইট বা কপাট এর মাধ্যমে। এগুলোকে স্ফিংক্টার বলে। এদের আবার আলাদা আলাদা নামও আছে। বুকের বা উপরের দিকেরটাকে ডাকা হয় কার্ডিয়াক স্ফিংক্টার বলে। অপরপ্রান্তে নিচেরটাতে বলে পাইলোরিক স্ফিংক্টার।