মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধি পায় যোগাযোগের মধ্য দিয়ে। আর এ যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো কথা।
কী করা উচিত :
সাময়িক পরিত্রান পেতে-
১. মোলায়েমভাবে আপনার জিহ্বার উপরিভাগে টুথব্রাশ দিয়ে ব্রাশ করুন। নিশ্চিত হোন যেন ব্রাশ জিহ্বার পেছন পর্যন্ত পৌছাতে পারে।
২. প্রতিদিন নূন্যতম দুইবার দাঁত ব্রাশ করুন এবং ফ্লস দিয়ে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্য কণা পরিস্কার করুন - বিশেষত: খাবরের পর।
৩. দ্রুত এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে মাউত স্প্রে, সুগন্ধী মশলা কিংবা মিন্ট, কমলা বা আপেল ইত্যাদি খাবার খেতে পারেন।
৪. মাউথওয়াশ দিয়ে কুলি করতে পারেন।
অনেকদিনের সমস্যা হলে:
১. যদি আপনার মুখের দুর্গন্ধের সাথে দাঁত ব্যথাও থাকে; সেক্ষেত্রে হয়তো দাঁতে ক্ষয় কিংবা মাড়িতে ফোড়া হয়ে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে একজন ডেন্টিস্টের সাথে যোগাযোগ করুন।
২. এক সপ্তাহ যাবৎ নিয়মিত দাঁত ব্রাশ, ফ্লসের সাহায্যে খাদ্যকণা পরিস্কার করা স্বত্তেও যদি আপনার মুখের দুর্গন্ধ রয়ে যায়, এবং কি কারণে এই দুর্গন্ধের উৎপত্তি সেটা বোঝা না যায় সেক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
৩. আপনার দাঁতের মাড়িতে যদি ব্যথা থাকে এবং সেখান থেকে রক্তপাত হয়, সেক্ষেত্রে সেটা মাড়ির অসুখ হয়ে থাকবে।
৪. মুখে দুর্গন্ধ হবার সাথে যদি আপনার জ্বরও থাকে, কাশি থাকে এবং কাশির সাথে সাদা থকথকে শ্লেষ্মা বের হয় সেক্ষেত্রে এটা হয়তো আপনার গলায় কিংবা ফুসফুসের কোন ক্ষত বা ফোড়া হওয়ার লক্ষণ।
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন :
১. প্রতিদিন নূন্যতম দুইবার দাঁত ব্রাশ করুন এবং ফ্লস দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে খাদ্যকণা পরিস্কার করুন।
২. আপনার জিহ্বাতেও দিনে অন্তত একবার ব্রাশ করুন। মনে রাখবেন, জিহ্বাতে লেগে থাকা খাদ্যাংশ থেকে মুখে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
৩. আপনার দাঁত বছরে অন্তত একবার একজন ডেন্টিস্ট বা দন্ত চিকিৎসককে দিয়ে মুখের ক্যালকুলাস পরিস্কার করিয়ে নিন এবং একজন ডেন্টিস্টকে দিয়ে পরীক্ষা করে নিন।
৪. ধুমপানের অভ্যাস থাকলে, ছেড়ে দিন।
৫. চিনি কম খাবেন, কফি, এবং এ্যালকোহল বা মদ; মশলা জাতীয় খাবার যেমন রসুন, ঝাল মরিচ ইত্যাদি এবং কড়া গন্ধযুক্ত খাবার যেমন শুঁটকি মাছ ইত্যাদি খাওয়া কমিয়ে দিন।
৬. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।