বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। পৃথিবীতে যত রকমের ফল উৎপন্ন হয় তার মধ্যে আকারের দিক থেকে কাঁঠাল সবচেয়ে বড়।
পাকা কাঁঠালের কোষ খাওয়া হয়। বীজের মাধ্যমে কাঁঠালের বংশ বিস্তার হওয়ার কারণে স্বাধে, গন্ধে, বর্ণে ও আকারে নানা বৈচিত্র্য দেখা যায়। একেক গাছের কাঁঠাল একেক রকম। এরপরই ব্যবহার হয়ে থাকে বীজ। বীজের ও বহুমুখী ব্যবহার হয়ে থাকে। কাঁঠালের বিচি সিদ্ধ করে অথবা আগুনে পুড়িয়ে বা চামড়া ফেলে দিয়ে ভর্তা তৈরি করে উপাদেয় পুষ্টি গুণাগুণসম্পন্ন খাবার তৈরি করা যায়। এত উপাদেয় কাঁঠাল আমাদের কী পুষ্টি দেয় তা জেনে নিই এবার।
কচি কাঁঠাল, পাকা কাঁঠাল এবং কাঁঠাল বীজের প্রতি ১০০ গ্রাম খাবারযোগ্য অংশের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ দেয়া হলো-
পুষ্টি উপাদান কচি কাঁঠাল পাকা কাঁঠাল বীজ
পানি (%) ৮৪ ৭৭.২ ৬৪.৫
শ্বেতসার (গ্রাম) ৯.৪ ১৮.৯ ২৫.৮
আমিষ (গ্রাম) ২.৬ ১.৯ ৬.৬
চর্বি (গ্রাম) ০.৩ ০.১ ০.৪
আঁশ (গ্রাম) - ১.১ -
খনিজদ্রব্য (গ্রাম) ০.৯ ০.৮ ১.২
ক্যালসিয়াম (মি. গ্রাম) ৫০ ২০ ২১
ফসফরাস (মি. গ্রাম) ৯৭ ৩০ ২৮
লৌহ (মি. গ্রাম) ১.৫ ৫০০ -
পটাশিয়াম (মি. গ্রাম) ২৪৬ - -
ভিটামিন এ (আ. এ) ০ ৫৪০ ১৭
থায়ামিন (মি. গ্রাম) ০.২৫ ৩০ -
রাইবোফ্লেভিন (মি. গ্রাম) ০.১১ - -
ভিটামিন সি (মি. গ্রাম) ১১ - -
খাদ্য শক্তি (কি. ক্যাল.) - ৮৪ -