বগুড়া: ক্যান্সার ও সার্জিক্যাল চিকিৎসায় স্থানিক পদ্ধতি প্রয়োগে সফলতা পেয়েছেন প্রবীণ হোমিও চিকিৎসক ডা. একেএম আব্দুর রহমান। পাশাপাশি ওষুধ নির্বাচনের পদ্ধতিও আবিষ্কার করেছেন তিনি।
শনিবার (০১ অক্টোবর) বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসার স্থানিক পদ্ধতি বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বগুড়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ডা. একেএম আব্দুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে এই চিকিৎসক বলেন, পৃথিবীর সব বস্তুই ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রত্যেক বস্তুরই কোনো না কোনো রোগ আরোগ্যকারী ক্ষমতা রয়েছে। যেসব রোগে দেহের কাঠামো বা গঠনগত পরিবর্তন ঘটে সে রোগ হোমিও মতে অসাধ্য বা দূরারোগ্য।
তিনি আরও বলেন, যে রোগীর দেহের কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটে না কেবল ক্রিয়াগত পরিবর্তন ঘটে সেখানেই গতানুগতিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সম্ভব। সেক্ষেত্রে ক্যান্সার ও সার্জিক্যাল চিকিৎসার জন্য স্থানিক পদ্ধতি অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
সংবাদ সম্মেলনে গাবতলীর ছাইহাটা গ্রামের হুরুমত আলীর ছেলে বুলু মিয়া গল ব্ল্যাডের ক্যান্সার চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে রোগ দেখার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করলে শতকরা ৩০-৪০ জন রোগী সুস্থ হবেন বলে ডা. আব্দুর রহমান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরোগ্যলাভকারী কয়েকজন নারী-পুরুষ ছাড়াও বগুড়া পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড সদস্য ডা. এসএম মিল্লাত হোসেন, বগুড়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. দেলওয়ার হোসেন, সাবেক অধ্যক্ষ ডা. আব্দুস সামাদ, ডা. সহিদুর রহমান, ডা. আব্দুল খালেক, ডা. মোস্তফা আলম, ডা. হুমায়ন কবীর, ডা. মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৬
এমবিএইচ/আইএ