ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

মনপুরা দ্বীপের কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ গঠন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৬
মনপুরা দ্বীপের কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ গঠন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দ্বীপ মনপুরা উপজেলার স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ও টেকসই করার লক্ষ্যে কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভোলার সংসদ সদস্য বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এ কমিটি গঠন করেন।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে ন্যাম ভবনে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিতে রয়েছেন মনপুরার উপজেলা চেয়ারম্যান শেলিনা অাক্তার চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুর রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম শাহাজাহান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দীপক, মো. আলাউদ্দিন, মো. জাকির হোসেন, অলিউল্লাহ কাজল, দৈনিক ইত্তেফাকের মনপুরা প্রতিনিধি সালাউদ্দিন ও বায়েজিদ কামাল উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী মনপুরার স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সবার আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। মনপুরার মতো এমন দুর্গম অঞ্চল স্বাস্থ্য বিভাগে একটি দৃষ্টান্ত হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

মনপুরার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকট, প্রেষণ আদেশ বাতিল, ভৌত অবকাঠামো সংস্কার, হাসপাতালে সোলার প্যানেল স্থাপনসহ বেসরকারি অন্য উদ্যোক্তাকে আকৃষ্ট করার জন্য করণীয় সব কিছু করবেন বলে আশ্বাস দেন  প্রতিমন্ত্রী। তিনি কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ কমিটির যৌথ অ্যাকাউন্টে নগদ এক লাখ টাকা অনুদানও দেন।

মাহমুদুর রশিদ বলেন, চরফ্যাশন ও মনপুরা আসনের সংসদ সদস্যের এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিশ্বাস করি হার্ড টু রিচ এরিয়ায় মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সহজ ও টেকসইকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দেশের দক্ষিণের দ্বীপ মনপুরা উপজেলায় চিকিৎসকরা যোগ দেওয়ার আগেই ট্রান্সফার নিশ্চিত করে নেন। এ দ্বীপটিতে স্বাস্থ্যসেবার মডেল গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশিদ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।

সোয়া লাখ জনসংখ্যার এ দ্বীপ উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবার প্রতিষ্ঠান শুধুই এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। এছাড়া আর কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকের অবস্থান নেই। যেসব উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে সেগুলোতেও নেই চিকিৎসক, নার্স। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন চিকিৎসকের স্থলে কর্মরত রয়েছেন তিনজন, নার্সের সংখ্যা দু’জন। নেই কোনো প্যাথলজিক্যাল সুবিধা। আর যেসব দ্বীপ ইউনিয়ন রয়েছে সেগুলোর সঙ্গেও নেই ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা।

সরকারি জনবল না থাকলেও স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কমিউনিটি ফান্ডিং সংগ্রহের মাধ্যমেও চিকিৎসক রেখে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কথা ভেবেছেন মাহমুদুর রশিদ। তার এ উদ্যোগের সঙ্গী হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, উপজেলা চেয়ারম্যান শেলিনা আক্তারসহ সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিরা।

মনপুরার স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে এ উদ্যোগ সম্পর্কে আইসিডিডিআর'বি এর বৈজ্ঞানিক এবং শেয়ার প্রকল্পের পরিচালক ড. ইকবাল আনোয়ার বলেন, বাংলাদেশে উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় জড়িতদের উদ্যোগ ও নেতৃত্ব। এ লক্ষ্যে আইসডিডিআর'বি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৬
এমএন/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।