ঢাকা: স্বাস্থ্য খাতে অনেক অগ্রগতি হয়েছে কিন্তু ডাক্তারদের শহরমুখী প্রবণতা স্বাস্থ্যখাতের সাফল্য ম্লান করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে টেরি দেস হোমস নেদারল্যান্ডস আয়োজিত ‘নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, প্রেক্ষিত: বাল্যবিবাহ এবং বাল্যবিবাহিত বালিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের জেন্ডার অ্যাডভাইজার তাহমিনা হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ড. অ্যানি ভেসটজেনস, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. এনায়েত হোসেন, টেরি দেস হোমস নেদারল্যান্ডস-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মাহমুদুল কবীর প্রমুখ।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, আমাদের অনেক ডাক্তার আছেন গ্রামে পোস্টিং দিলে প্রেষণে এবং সংযুক্তিতে সিভিল সার্ন অফিস, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চলে আসেন। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।
এজন্য তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বেশি বেশি মনিটর করারও আহ্বান জানান।
বাল্যবিবাহ সম্পর্কে ডেপুটি স্পিকার বলেন, বাল্যবিবাহ এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। তবে এজন্য জেলা উপজেলা পর্যায়ে আরও বেশি সচেনতামূলক কাযর্ক্রম নিতে হবে। বাল্যবিবাহ রোধ বিষয়ক সভা সেমিনার জেলা উপজেলা পর্যায়ে বেশি বেশি করে করা উচিত।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, সরকার বাল্যবিবাহ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সর্বদা সজাগ। তিনি বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য একটি আইনও করা হচ্ছে। আশা করছি সামনের অধিবেশনেই আইনটি পাস হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সেবা গ্রাম পর্যায়ে নিশ্বিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছেন। গ্রাম পর্যায়ে এখন কমিউনিটি ক্লিনিক জনপ্রিয় স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে কিন্তু সঠিক তত্ত্বাবধানের অভাবে কিছু ঘাটতিও রয়েছে। ডাক্তারদের শহরমুখী প্রবণতা এর জন্য অনেকাংশে দায়ী।
নন গর্ভমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এনজিও) কাজের স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, এনজিওরা ভালো কাজ করে, মানুষের সেবা করে। তাই বলে সেবার নামে স্বচ্ছতা থাকবে না এটা কাম্য নয়।
তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের পোশাক পড়তে চান না। যে কারণেই হোক তাদের ভেতর এক ধরনের অনীহা কাজ করে- যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
এসএম/এমজেএফ