ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া এক তরুণীকে আটক করা হয়েছে। তিনি অ্যাপ্রোন পরে বার্ন ইউনিটের তিনতলায় এক রোগীর চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বার্ন ইউনিট ভবনের তৃতীয় তলায় এক রোগীকে আত্মীয় বানিয়ে চিকিৎসা দিতে এসে হাতেনাতে আটক হন ডালিয়া। পরে আনসার সদস্যদের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়।
বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসা যুবক আরমান জানান, তার বাসা কেরানীগঞ্জে। এক বছর আগে কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে পায়ে আঘাত পান। এরপর থেকে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন ডা. সালমা আমানের কাছে। তখন থেকেই তাদের দূরসম্পর্কের আত্মীয় ডালিয়া সঙ্গে ছিলেন। তিনি তাদের কাছে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দেন। আজকে জানতে পেরেছেন ডালিয়া চিকিৎসক নন।
আরমান বলেন, সকালে ফলোআপে আসি বার্ন ইউনিটে, সঙ্গে ছিলেন ডালিয়া। সালমা আমান চিকিৎসার বিষয়ে ইংরেজিতে একটি কথা বললে এর উত্তরে ডালিয়া ভুল বলেন। তখন তাকে ভুয়া চিকিৎসক বলে ধরিয়ে দেওয়া হয়।
তবে আটক ডালিয়া কোনো বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তিনি কেবল সাংবাদিকদের বলেন, তিনি চিকিৎসক হিসেবে কখনোই পরিচয় দেননি।
এক পর্যায়ে শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, অ্যাপ্রোন পরা গলায় স্টেথোস্কোপ লাগানো এক তরুণীকে আটক করা হয়েছে। তিনি নিজে ডা. পরিচয় দিলেও কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তার কাছ থেকে কোনো ধরনের তথ্য বের করা সম্ভব হয়নি। তার আচরণ দেখে মনে হয়েছে তিনি পেশাদার প্রতারক। তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আইনানুযায়ী তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষ ভুয়া চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া ডালিয়া নামে একজনকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢামেক হাসপাতালে ভুয়া নারী চিকিৎসক আটক
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
এজেডএস/এইচএ/