মুখের দুর্গন্ধ বা হ্যালিটোসিস শুধু নিজের জন্য নয়, আশেপাশের মানুষের জন্যও অস্বস্তিকর। অফিস, সামাজিক বা ব্যক্তিগত সম্পর্ক, সব ক্ষেত্রেই এর প্রভাব পড়ে।
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ ও ফ্লস করা
প্রতিদিন অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করুন। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করা জরুরি। শুধু ব্রাশ নয়, দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার পরিষ্কার করতে নিয়মিত ফ্লস ব্যবহার করলে দুর্গন্ধের সম্ভাবনা কমে যায়।
জিহ্বা পরিষ্কার রাখা
জিহ্বায় জমে থাকা জীবাণু ও খাবারের কণা মুখের দুর্গন্ধের বড় কারণ। তাই প্রতিদিন ব্রাশের সঙ্গে জিহ্বা পরিষ্কার করাও প্রয়োজন।
পর্যাপ্ত পানি পান
শরীরে পানিশূন্যতা থাকলে মুখ শুকিয়ে যায়, ফলে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। নিয়মিত পানি পান করলে মুখ আর্দ্র থাকে এবং লালা নিঃসরণ স্বাভাবিকভাবে হয়, যা দুর্গন্ধ দূর করতে সহায়ক।
গন্ধযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা
রসুন, পেঁয়াজ, অতিরিক্ত মশলাদার খাবার বা ধূমপান মুখের দুর্গন্ধ বাড়ায়। এগুলো সীমিত রাখা উচিত।
মুখ ধোয়া ও মাউথওয়াশ ব্যবহার
খাওয়ার পর মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে অ্যালকোহলমুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে, যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
পেট ও হজমের যত্ন
গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা হজমের সমস্যা থেকেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। তাই সুষম খাবার খাওয়া, সময়মতো খাবার গ্রহণ এবং হজমের প্রতি যত্ন নেওয়া জরুরি।
নিয়মিত দন্তচিকিৎসক দেখানো
দাঁতে পচন, মাড়ির ইনফেকশন কিংবা টার্টার জমা থাকলেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। তাই নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে দাঁত-পরীক্ষা করা ভালো।
এমজে