ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

ফাস্ট ফুড দোকানের নতুন লাইসেন্স বন্ধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৬
ফাস্ট ফুড দোকানের নতুন লাইসেন্স বন্ধ ছবি- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

রাজধানীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন ফাস্ট ফুডের দোকান, যেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড খেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন অধিকাংশ মানুষ। তাদের সচেতনতার পাশাপাশি আর কোনো ফাস্ট ফুড দোকানের নতুন লাইসেন্স দেওয়া হবে না...

ঢাকা: রাজধানীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন ফাস্ট ফুডের দোকান, যেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড খেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন অধিকাংশ মানুষ। তাদের সচেতনতার পাশাপাশি আর কোনো ফাস্ট ফুড দোকানের নতুন লাইসেন্স দেওয়া হবে না, এমনটি বলেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া।

 

বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) ‘৪র্থ পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন ডে’ উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার এ কথা বলেন।
 
ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, ফাস্ট ফুড, এনার্জি ডিংক্স, তামাক জাতীয় সব পণ্যের উপর বেশি করে কর আরোপ করা হবে। স্বাস্থ্যখাতে নিজস্ব বরাদ্দের পাশাপাশি ওই টাকা সংগ্রহ করে এখাতে দেওয়া হবে। আর নতুন করে কোনো ফাস্ট ফুড দোকানের লাইসেন্স দেওয়া হবে না। তাহলেই দেশের মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে বের করে আনা সম্ভব হবে। কেননা এসব খাদ্যের কারণেই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন মানুষ।
 
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, বাইরের দেশের তুলনায় আমাদের দেশের চিকিৎসকরা অনেক দক্ষ। কিন্তু তাদের সময়ের অভাবে আমরা ভালো চিকিৎসা পাই না। বাইরের দেশের চিকিৎসক যেখানে দিনে ১০ জন রোগী দেখেন, সেখানে আমাদের দেশের চিকিৎসক দেখেন অন্তত ২০০ জন। তাই জনসংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে, যদি চিকিৎসক বাড়ানো যায়, তবেই আমরা ভালো চিকিৎসা পাবো।

স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন এনজিও’র সমালোচনা করে তিনি বলেন, হয়তো অনেক এনজিও আমার প্রতি মন খারাপ করবে। তবুও বলছি, এই এনজিওগুলো স্বাস্থ্যসেবা বা মানুষকে স্বাস্থ্যসচেতন করার জন্য বাহির থেকে যে পরিমাণ অর্থ নিয়ে আসে, তার সঠিক ব্যবহার তারা করে না।  

ডেপুটি স্পিকার আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আরও উন্নয়ন করতে হবে। প্রত্যেক জেলা হাসপাতালগুলোতে একটি করে বার্ন ইউনিট বানাতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তত একটি আইসিইউ ব্যবস্থা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, দেশের ৬০ শতাংশ মানুষই গ্রামে বসবাস করেন।  

সম্মেলনে জনস্বাস্থ্য নিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন প্রফেসর লিয়াকত আলী (ভাইস চ্যান্সেলর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স), বাংলাদেশ পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান মুজাহেরুল হক প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনটির চেয়ারম্যান ফাতেমা আশরাফ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬
এসটি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।