দেশের স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব অর্জনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশে পাইলস এর স্টেপলার চিকিৎসার (লোঙ্গো পদ্ধতি) পথিকৃৎ অধ্যাপক ডা: এ কে এম ফজলুল হককে অতি সম্প্রতি সম্মামনা জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অফ কোলোপ্রকটোলজি অ্যান্ড পেলভিক ডিজিজেজ। ১৯-২১ জুনে ইটালির রোমে অনুষ্ঠীত ৪র্থ ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অফ কোলোপ্রকটোলজি অ্যান্ড পেলভিক ডিজিজেজ-এ উপস্থিত চিকিৎসকদের মধ্যে তিনিই একমাত্র বাংলাদেশী ছিলেন।
অধ্যাপক ফজলুল হকের কৃতিত্ব এই ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজন অগ্রণী চিকিৎসকের স্বীকৃতি লাভ করেছে। কংগ্রেসের চেয়ারম্যান এবং পাইলস এর স্টেপলার চিকিৎসার পথিকৃৎ ইটালির ডা: এন্টোনিও লোঙ্গো বলেন, “ পাইলস এর স্টেপলার চিকিৎসার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশীয়ায় সবচেয়ে উত্তম অভিজ্ঞতা রয়েছে অধ্যাপক হকের এবং শল্য চিকিৎসার মানচিত্রে তিনি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে তুলেছেন। এই ব্যাপারে আমি অত্যন্ত গর্বিত। ”
অধ্যাপক হকও ডা: লোঙ্গোর এই অভিনব স্টেপলার চিকিৎসার প্রসংশা করেছেন এবং বাংলাদেশে এর জনপ্রিয়তার কারন তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন “তৃতীয় এবং চতুর্থ মাত্রার পাইলস এর জন্য স্টেপলার চিকিৎসা সবচেয়ে কম কষ্টসাধ্য এবং রোগী ২-৩ দিনের মধ্যেই পুরোপুরি সেরে ওঠে। অন্যদিকে সাধারন শল্য চিকিৎসা বেশ যন্ত্রনাদায়ক এবং রোগীদের পুরোপুরি সুস্থ্য হতে ২-৩ সপ্তাহ লেগে যায়। এজন্য বাংলাদেশের রোগীরা এই চিকিৎসা পদ্ধতি বেশী পছন্দ করেন এবং ডা: এন্টোনিও লোঙ্গোর পদ্ধতি অনুসরন করে আমরা হাজার হাজার রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করতে পেরেছি”।
বিশেষজ্ঞরা শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয় বরং স্টেপলার চিকিৎসার ক্ষেত্রে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে অভিজ্ঞ চিৎিসক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। তিনি বাংলাদেশে স্টেপলার চিকিৎসার মাধ্যমে হাজার হাজার রোগীদের চিকিৎসা সফলভাবে সম্পাদন করেছেন।
বাংলাদেশ সময় ১৯২৩, আগস্ট ১৮, ২০১১