এছাড়া সপ্তাহে চার দিন ওই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি নেওয়া হয়। এ সময় আনুমানিক ১২০ জন রোগীকে একই ওটি থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অথচ গত পাঁচ বছরে মেরামত করা হয়নি ওটি’র অটোক্লেভ মেশিন। অপারেটিং টেবিল, অপারেটিং লাইট এখনও বিকল হয়ে না গেলেও সেগুলোর বেহাল দশা।
সূত্র জানায়, গত ৫ বছর যাবৎ ওটি’র অটোক্লেভ মেশিন অকেজো হয়ে থাকায় অস্ত্রোপচারের কাঁচি (সিজার) এবং অন্যান্য সরঞ্জাম পানিতে জীবাণুনাশক মিশিয়ে হাতে পরিষ্কার করা হয়।
মাথায় আঘাত পাওয়া কোনো রোগী হাসপাতালে এলে প্রথমেই তাকে সার্জারি বিভাগের ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওটিতে নেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে ঢামেক হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেবেশ চন্দ্র তালুকদার বলেন, কেবল সরঞ্জাম নয়, অস্ত্রোপচারের সময় যে চাদর ব্যবহার করা হয়- সেটিও মেশিনে পরিষ্কার করা জরুরি। এখন যেভাবে করা হচ্ছে, সেভাবেও জীবাণুমুক্ত হয়- তবে মেশিনে করা বেশি ভালো।
তবে এসব বিষয়ের কিছুই জানেন না বললেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. খাজা আব্দুল গফুর। তিনি বলেন, অটোক্লেভ মেশিন নষ্ট এবং ওটি’র এমন অবস্থা- কেউ আমাকে জানায়নি। শিগগির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
এটি