রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে শজিমেক হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল বাংলানিউজকে এ খবর নিশ্চিত করেন।
এদিকে ঘটনার তদন্তে হাসপাতালের উপ-পরিচালক নির্মলেন্দু চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান ডা. রেজাউল করিম।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় এখনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিনগত গভীররাতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কোনাগাতি গ্রামের আলাউদ্দিন সরকার হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তার ছেলে আব্দুর রউফ তাকে নিয়ে ওই হাসপাতালে আসেন। পরে তাকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ভর্তি করে মেঝেতে রাখা হয়।
রোববার দুপুরে তাকে হাসপাতালের একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক দেখতে যান। এ সময় রোগীর ছেলে আব্দুর রউফ কোনো কারণ ছাড়াই ওই চিকিৎসকে লাঞ্ছিত করেন বলে সহকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন তিনি।
এতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুর রউফকে আটক করে ব্যাপক মারপিট করেন। পরে এ ঘটনার বিচার চেয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তালা মেরে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করে দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। একপর্যায়ে এ ঘটনার বিচারের দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেন তারা।
তবে রোগীর স্বজনকে মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক কুতুব উদ্দিন। তিনি বলেন, কর্তব্যরত চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করায় আমরা শুধু তাকে আত্মরক্ষা করেছি।
ঘটনার উপযুক্ত বিচারের দাবিতে জরুরি বিভাগে তালা মারাসহ অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে বলেও স্বীকার করেন চিকিৎসক কুতুব উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
এমবিএইচ/এএটি/এমজেএফ