রোববার (২৩ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টিকাদান সচেতনতা সপ্তাহের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশে উচ্চ টিকাদান কভারেজ বজায় রেখে শিশু মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব রোধে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) সবচেয়ে বেশি কার্যকর।
২০১৫ সালের জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, ইপিআইয়ের আওতায় ১ বছরের নিচের শিশুদের মধ্যে প্রথম টিকা গ্রহণের হার প্রায় শতভাগ (৯৯ শতাংশ)। যা ১৯৮৫ সালে মাত্র ২ শতাংশ ছিলো।
৬টি টিকা দিয়ে ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশে শুরু হওয়া ইপিআই কার্যক্রমে ২০১৫ সালে টিকার সংখ্যা ১১-এ উন্নীত হয়। ২০১৮ সালে ১৩-তে উন্নীত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
জনগণের মধ্যে টিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, সমাজে টিকার চাহিদা সৃষ্টি করা, সব পর্যায়ে টিকাদান কভারেজ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের আলোকে ‘টিকা শিশুর জীবন বাঁচায়’- এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ইপিআই এ সপ্তাহটি পালনের বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।
টিকাদান সপ্তাহ পালন কার্যক্রমে রয়েছে- জাতীয় পর্যায়ে সংবাদ সম্মেলন ও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন, টেলিভিশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রীর আহ্বান, বিভাগ, জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে অ্যাডভোকেসি সভা আয়োজন, মাঠকর্মীদের বাড়ি পরিদর্শনের মাধ্যমে রুটিন টিকাদান কার্যক্রমে হাম-রুবেলা টিকা থেকে বাদপড়া ও আংশিক বাদপড়া শিশু সনাক্ত করে তাদের নিয়মিত টিকাদান সেশনের মাধ্যমে টিকা দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইপিআইয়ের লাইন ডিরেক্টর ডা. জাহাঙ্গীর আলম সরকার, প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ইপিআই অ্যান্ড সার্ভিল্যান্স) ডা. শামসুজ্জামান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
এমএন/ওএইচ/জেডএস