ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

এই গরমে শীতল-শান্তির ঘুম চাইলে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৬ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১৭
এই গরমে শীতল-শান্তির ঘুম চাইলে এই গরমে শীতল রুমে শান্তির ঘুম চাইলে। (প্রতীকী ছবি)

চলছে গ্রীষ্মকাল। তীব্র তাপদাহে মাঝেমাঝে হাঁসফাঁস অবস্থা দাঁড়ায়। দিনের বেলার প্রচণ্ড রোদ পরিবেশকে উত্তপ্ত করে ভোগায় রাতেও। ঘরে যদি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র (এসি) না থাকে তবে ঘুমানোই মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়।

এই অবস্থায় পরবর্তী কর্মদিবসে ব্যস্ত হওয়ার জন্য হলেও তো একটু শান্তির ঘুম দরকার। কীভাবে পেতে পারেন সেই খানিকটা শান্তির ঘুম, যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর দিচ্ছে সে পরামর্শ--

মাথা ঠাণ্ডা রাখুন
ঘুমের আগে মাথাটাকে একদম ঠাণ্ডা রাখুন।

কোনো রকমের দুঃশ্চিন্তা মাথায় না রেখে বিছানায় যান এবং নীরবে শুয়ে পড়ুন। দুঃশ্চিন্তা বা উত্তেজনা শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়, তাতে গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে ঘুম কেড়ে নেওয়াটাই স্বাভাবিক।  

শীতল বিছানা
তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বেডরুমও যখন গরম হয়ে যায় তখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া অনেক জরুরি। এক্ষেত্রে বালিশ ও বিছানার চাদর একটি ব্যাগে ভরে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দেওয়া উচিৎ। এরপর সেই শীতল বিছানা পেতে ঘুমালে ঘুমটা শান্তির হতে পারে।

নিতে পারেন সুতি কাপড় ও পায়জামা
খানিক শীতলতার জন্য ঘুমাতে গেলে গায়ে সুতি কাপড় রাখা উচিৎ। এতে শরীরে বাতাস পরিবহন সহজ হয়। সুতির কাপড় ও পায়জামা পরিহিত অবস্থায় শরীর যেমন ঠাণ্ডা থাকে, ঘুমও হয় ভালো রিপন।

তৈরি করুন শীতল রুম
প্রচণ্ড রোদে অনেক সময় দেখা যায়, ছাদও গরম হয়ে আছে। এমনকি সিলিং ফ্যানের বাতাসও তখন অনেক গরম মনে হয়। সেক্ষেত্রে রুম শীতল করা অনেক জরুরি। আর এজন্য রুমে বাতাস প্রবেশ স্বাভাবিক রাখতে জানালা খুলে রাখা আবশ্যক। খোলা জানালার সঙ্গে ফ্যান চলতে থাকলে রুমটি সহজেই শীতল হয়ে উঠবে। একটি রুমের আদর্শ তাপমাত্রা হয় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

খাবার-ঘুমে বিরতি
সাধারণত খাবার গ্রহণের পর আমাদের শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যায়। তারপর আবার যদি ভারী বা মসলাযুক্ত খাবার হয় তাহলে তো আরও বেশি। তাই রাতের খাবার গ্রহণের কমপক্ষে দুই ঘণ্টা পর ঘুমাতে যান, দেখবেন শরীর বেশ শীতল তখন। আর গরমের রাতে অ্যালকোহল পরিহার করাটাই শ্রেয়।  

বিছানায় লেয়ার ও পানির ব্যবস্থা
গরমের দিনে বিছানায় তোশক বা ফোম পরিহার করে কাগজ বা অন্য যে কোনো সুতি কাপড়ের লেয়ার তৈরি করুন। এতে বিছানা শীতল হতে পারে। শোবার সময় বিছানার পাশে পানির ব্যবস্থা রাখা উচিৎ, যেন ঘুম ভেঙে গেলে সহজেই পানি খাওয়া যায়। আর এমনিতেই ঘুমাতে যাওয়ার আগেও পরিমাণমত পানি পান করা উচিৎ, পানির কারণেই শরীরের তাপমাত্রা সহনীয় থাকে।  

শাওয়ার ও নৈঃশব্দ
ঘুমানোর আগে শাওয়ারে একটা শীতল গোসল আপনাকে দিতে পারে অনেক বেশি প্রশান্তির ঘুম। আর ঘুমানোর জন্য প্রয়োজন একটি নিঃশব্দ রুমের।

এছাড়া, আরও কিছু পদ্ধতি
#একা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। যদি বিছানা ভাগাভাগি করতে হয়, তবে পার্টনারের শরীরের তাপমাত্রা যেন আপনার গায়ে প্রবাহিত না হয়, তাতে তুলনামূলক শীতল থাকতে পারবেন।  
#চেষ্টা করুন রুম পছন্দের ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা রুম নিতে। বাতাস প্রবাহের মান বেশি এমন রুম বেছে নেবেন সর্বাগ্রে।
#রুমে টেবিল ফ্যান থাকলে তার সামনে বা পেছনে ঠাণ্ডা পানির বোতল বা বরফ রাখা যেতে পারে।
#রুমে রঙিন কাপড়ের পরিমাণ কমানো উচিৎ, কারণ রঙিন কাপড় তাপমাত্রা ধরে রাখে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।